বিনম্র-অতৃপ্ত শ্রদ্ধায় স্বরণীয় বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালির অন্তকোণে অনন্ত শোকের ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

ইমাম হোসেন জীবন ক্রাইম রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালবাসার পরিপূর্ণতায় স্বরণীয় ১৫আগস্ট সর্বস্তরের বাঙ্গালির অন্তকোণে অনন্ত শোকের ছায়া।

আজ ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
* দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
* মোনাজাত করেন।

দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পালিত হচ্ছে ১৫আগষ্ট উপক্ষ্যে নানান কর্মসূচী।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। তবে, এবারও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

এছাড়াও, দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।……..

আজ ৪৬ বছরের পরেও বাঙ্গালী ও বাংলার ইতিহাসে আরেক নাম শেখ মুজিবুর রহমান।শুধু নামে নয়, তাঁর শ্রেষ্ঠ নেতৃত্বে ও কর্মগুনে স্বরনকালে চীরস্বরণীয় হয়ে আছেন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।

তিঁনি ওমর হয়ে থাকবেন দেশবিশ্বের ইতিহাসে ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নেতৃত্ব মনা মানুষ হৃদয়ের মনিকোঠায়।

কিন্তু বাস্তব প্রতিফলনে দৃশ্য-অদৃশ্যভাবে মৃত শেখ মুজিবের নীতি-আদর্শ নিয়ে চলছে নানান মতবিরোধ দলাদলি আার কাঁদা-ছুড়াছুড়ি!

তাঁকে এত ভয় পাওয়ার কারন কি?? হ্যা,এই অপশক্তি মুজিবকে ভয় পায়, কারন মুজিব শুধু জাতির পিতাই নন, মুজিব একটি চেতনার নাম, একটি আদর্শের নাম………

অতচ ক্ষমতা দখল-আদিপাত্যের প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রেক্ষিাপটে উস্কানীমূলক মন্তব্যে ইতিহাসও কম নয়।

পরিশেষে বলতে চাই,বঙ্গবন্ধু হল আগামী তরুণ প্রজন্মের জন্য আলোকিত দেশ গড়ার রোলমডেল। আমাদের স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের শীর্ষক কারিগর।

শৈশব-কৈশোরে বড়দের মূখে শুনা হাজারো গল্পের স্মৃতির পাতায় সাজানো অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের গৌরবময় বাংলার ইতিহাস।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি অদ্বিতীয় কিংবদন্তি ইতিহাস।

বঙ্গবন্ধুকে দেখার ভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস শুনেছি,
বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে,বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি জানাই গভীর অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মহান ১৫ আগষ্টের শোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে সকল মুজিব আদর্শের সৈনিক কে এসব সহ্য করার তৌফিক দান কর।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত