
খুলনা সদর
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার নদনদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। খুলনার একটি বালু সিন্ডিকেট চক্র এই অবৈধ বালু উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। বটিয়াঘাটার বিভিন্ন নদনদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। কোনভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না এই সিন্ডিকেট চক্রদের। প্রশাসনকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তারা বালু উত্তোলন করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু সিন্ডিকেট চক্রের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা প্রতিমাসে টাকা দিয়ে থাকি থানা ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে। আপনারা এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। খুলনা জেলার
পাইকগাছা,ডুমুরিয়া,রুপসা,দাকোপসহ বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র বটিয়াঘাটা উপজেলার বালু সিন্ডিকেট চক্রদের কিছুই হচ্ছে না। প্রশাসন তাদের সাথে সখ্যতা করে চালিয়ে যাচ্ছে এই বালুর ব্যবসা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসন কি বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত? সচেতন মহল এই বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকা কথিত এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ তারা বালুর মাঠ লীজ নিয়ে বালু উত্তোলন করছে। উপজেলার বারআড়িয়া ভদ্রা নদী,বটিয়াঘাটা সদরের শিবসা নদী, ডুমুরিয়া উপজেলার গেংরাইল নদী, বটিয়াঘাটা শৈলমারী নদীসহ বিভিন্ন নদনদী থেকে সিন্ডিকেটরা বালু উত্তোলন করে চলেছে। বারআড়িয়া ও বিগরদানা, ফুলবাড়ী এলাকার বেশ কিছু বালু দালাল চক্রের সহযোগিতায় নদী থেকে বালু উত্তোলন চলছে বলে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার নদীথেকে ড্রেজারের মাধ্যমে নদীতে জোয়ারের সময় বালু উত্তোলন করছে। পাইকগাছা উপজেলার ফুলবাড়ি বাজার নামক স্থানে ওই বালিচক্র সদস্যদের ড্রেজারের মাধ্যমে বোর্ডে করে বালু দিতে দেখা যায়। এ বিষয় বোট মালিক লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারোআড়িয়ার ছোটর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট করছি। রায়পুর এলাকার রফিকুল ও আলতাফ জানান,প্রতিদিন সকালে এবং মধ্য রাতে দুটো বোট ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। রায়পুর ও বারোআড়িয়া ভদ্র নদীথেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করছে তার ঠিক কাছেই বারআড়িয়া ও বিগরদানা এলাকায় রয়েছে দুটি পুলিশ ফাঁড়ি। এদের নাকের ডগায় চলছে নদীথেকে এই অবৈধ বালু উত্তোলন।