

সাংবাদিক আজম খাঁন 🛑
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই প্রাকৃতিক পরিবেশ নদীর তীর ঘেষা ও পাহাড়ী বনায়ণ পরিবেশ ।প্রকৃতি থেকে আমরা যখন দূরে সরে যাই তখন আমরা নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনি সেই সঙ্গে পৃথিবীকে ধ্বংসে দিকে নিয়ে যাই।প্রকৃতি ছাড়া কখনও কোন মানুষ যেমন বাঁচে না,তেমনি মানুষ ছাড়াও এই প্রকৃতির কোন মূল্য নেই। প্রকৃতিকে ভালোবাসা মানে নিজে বেঁচে থাকা।তাই প্রকৃতির গাছপালা,পাহাড়, বন,নদী ও সমুদ্র সহ সব মুলত মানুষের কল্যাণে। প্রকৃতিতে গাছপালা থাকে,থাকে সবুজ বৃক্ষরাজি,পাখপাখালি,মানুষ অবসরে যেখানে গিয়ে প্রানভরে নিঃশ্বাস নেয়,নির্মল বায়ু গ্রহন করে,যার দৃষ্টি নন্দন নৈসর্গিক সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ সহ সকলেই কাপ্তাইর দৃশ্য দেখার হাজারো মানুষের পদাচরনায় বিভিন্ন শহরের লোকজন কাপ্তাই দর্শনীয় সবুজ প্রকৃতি নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গাও কাপ্তাই লেক।প্রস্ফুটিত শাপলার সঙ্গে কিশোরীর লুকোচুরি খেলা কোলাহলময় অথচ নির্জীব কাপ্তাই শহরে বাস করা আনন্দেও বঠে।
তাই প্রকৃতির অতি নিকটে গিয়ে প্রকৃতিকে দেখা ও প্রান ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র স্হান কাপ্তাই লেক।চারদিকে সবুজের সমারোহ প্রাচীন গাছালি,পাহাড় বেষ্টিত অপরূপ নৈসর্গিক দৃষ্টি নন্দন পাহাড়ী এলাকা সকলের নিকট একবাক্যে অতুলনীয়।
আজ হতে প্রায় হাজার বছর আগে পাহাড়ী উপজাতি বসবাস ওখানে পেপার মিল ও বিদ্যুর উৎপাদন কেন্দ্র পাহাড়ঘেরা এক নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ।
পাহাড়ী ও বাঙ্গালির হৃদয়ে আনন্দের জোয়ার বহে আনে,বিশ্ব কবি রবি ঠাকুরের কন্ঠে”আজি প্রাতে সুর্য উঠা সফল হলো কার”। অন্য কোন এক কবির কন্ঠে যেন উচ্চারিত হয় বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে তুমি কাঁদবে,আমি তা চাইনা।সেই নববর্ষ সহ বাঙ্গালির জাতির গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক উৎসব প্রতিবছর পালিত হয়।
এখানে ১লা ফাল্গুন,নজরুল,রবীন্দ্র জয়ন্তী সহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড উদযাপিত হয়। বৈশাখ সহ সব সাংকৃতিক কর্মকান্ড শিরিষতলা হয়ে উঠছে সব মানুষের প্রানের মিলন কেন্দ্র কাপ্তাই লেক। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে,নানা রকম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ঝড়, বৃষ্টি,বন্যা,পাহাড় ধ্বস, মানুষের মৃত্যু সহ সব দুর্যোগের মুল কারন সবুজ গাছপালা নিধন ও নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংসকরণ। আমরা দিনের পর দিন কোন না উন্নয়ন মুলক কর্মযজ্ঞের দোহাই দিয়ে সবুজ গাছপালা কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছি যা আমাদের জন্য আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের জন্য ভয়ংকর বার্তা বয়ে আনবে।
বর্তমান সময়ে লক্ষ্যনীয়,দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, খরা সহ সব দুর্যোগের জন্য মুলত আমরা মানুষরা দায়ী। এসব বিষয়ে সাপ্তাহিক কাপ্তাই সংবাদ পত্রিকা প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে জেনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকেরা আনন্দিত। আমাদের সমাজে নৈতিক মুল্যবোধের অধঃপতনমুলক খবর তুলে ধরা সাংবাদিকের দায়িত্ব। তবে নারী-পুরুষ সহাবস্হান সমাজ। তাই সাপ্তাহিক কাপ্তাই সংবাদ পত্রিকার সফলতা কামনা করছি।
সাংবাদিক মোহাম্মদ আজম খাঁন
ভাইস-চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ পুরুষ নির্যাতন বিরোধী সোসাইটি,কেন্দ্রীয় কমিটি।