
এ কে জায়ীদ বেরোবি প্রতিনিধিঃ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ( বেরোবি ) স্বাধীনতা স্বারকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন স্মৃতি স্বরুপ যে গাছটি রোপন করা হয়েছিল সেটা কর্তনের প্রতিবাদ ও কর্তনের কারণ জানতে চেয়ে সাংসদিক সম্মেলন করেন বৃক্ষপ্রেমিক সাধারণ শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় (১৬ অক্টোবর ) বিজয় সড়ক পাশে গাছ কর্তনের স্থানে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বাংলা ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক তুহিদ ওয়াদুদ স্যারে আদেশে গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ২টায়, ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাধারণ সভার আগের দিন প্যান্ডেল সাজানোকে কেন্দ্র করে মাঠের পাশে থাকা স্বাধীনতা স্মারকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন স্মৃতি স্বরুপ রোপন করা তেতুল গাছটি কেটে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে ১৩ তারিখ গাছকে সাদা কাফনের কাপড় মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদ আল ফয়সাল বলেনঃ ” ভর দুপুর বেলায় আমি যখন মাঠে দাড়িয়ে ছিলাম তখন দেখি হঠাৎ করে একটা লোক গাছটি কাটতে শুরু করে। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি গাছটি কেন কাটা হচ্ছে। তখন সে তুহিন ওয়াদুদ স্যার কে দেখিয়ে বলেন তার আদেশে গাছটি কাটতেছি। আমি গাছটি কাটতে নিষেধ করি তারপরেও আমার কথা না শুনেই গাছটি কেটে ফেলা হয়। আমার মনে হয় স্যারের একক সেচ্ছাচারীতার কারণে গাছটি কাটেন। ” বেরোবির ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুন শাকিল বলেনঃ ” আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যত প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে শুধু মাত্র তুহিন ওয়াদুদ স্যারের অবদান নয়। কিন্তু তিনি একাই ক্রেডিট নিতে চায়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা গাছ লাগিয়েছে। অন্যান্য স্যার এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিজস্ব অর্থায়নে গাছ রোপণ করেছেন। এই ধরনের সিদ্ধান্তে কাউকে না জানিয়ে, কোন একক সিদ্ধান্তে কোন গাছ কাটতে পারে না। ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাত বলেনঃ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যত প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলো অপরিকল্পিত ভাবে লাগানো। অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। আবার অপর পাশে যত্রতত্রভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠে। এতে করে আমাদের খেলাধুলার সমস্যা হচ্ছে। আরেক শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেনঃ “এটা নিয়ে কেন কোন কথা হবে না? কারণ এটা আমাদের স্বাধীনতা সারকের স্মৃতি হিসেবে লাগানো হয়েছে। এটা কাটা মানে স্বাধীনতাকে অপমান করা, স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করা। শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, কর্তনকৃত গাছটি কাটার অপরাধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গাছে যে বাকি অংশটুকু রয়েছে সেটুকু নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বাকি গাছগুলোকে পরিচর্যার ব্যবস্থা গ্রহন করতে। উক্ত ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০১ টি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। কি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংস্থার ফান্ড ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে যে বিক্ষ রোপন করা হয়েছে, তাদের ভূমিকাকে কেন অস্বীকার করা হচ্ছে তা সকালের কাছে এর সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলন শেষে ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।