
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ
” হৈমন্তিকা এসো এসো, এসো হিমেল – শীতল বন তলে” কাজী নজরুল ইসলামের প্রকৃতি পর্যায়ের এই গানটি যখন বেতার ও টিভি শিল্পী রাজেস সাহার সুরেলা কণ্ঠে গীত হচ্ছে, তখন কয়েকশত দর্শক মন্ত্র মুগ্ধের মতো পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করছে সেই গান।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বেলা আড়াই টা হতে সন্ধ্যা অবধি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি কর্ণফুলি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠিত হলো ” হেমন্তের আমন্ত্রণ ” শীর্ষক হেমন্ত উৎসব।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, কাপ্তাইয়ের আয়োজনে আনিকা, অদ্রিজা ও মেসিং এর প্রানবন্ত উপস্থাপনায় উৎসবে ছিল হেমন্ত ঋতুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা, জারি গান, নৃত্যানুষ্ঠান এবং নানা রকম পিঠা পুলির আয়োজন। একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া, নৃত্য প্রশিক্ষক সংগীতা দত্ত এ্যানি ও সংগীত শিক্ষক জ্যাকলিন তনচংগ্যার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একক, দ্বৈত ও সমবেত সংগীত পরিবেশন ছাড়াও বিশিষ্ট বাংলা ঢোল বাদক শিবু দাশের একক ঢোল বাদন, সমবেত যন্ত্র সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানকে আরোও প্রানবন্ত করে।
উৎসব প্রাঙ্গনে ১৪ টি স্টলে বিক্রেতারা হরেকরকম পণ্য, পিঠা,খেলনা, হস্তশিল্প সাজিয়ে রাখেন এবং মেলায় আগত ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেন। মেলার আগত উদ্যোক্তা শারমিন নিশি জানান,
আমাদের স্টলে হেমন্ত থিম কেক, রেড ভেলভেট জার কেক, চুই পিঠা, প্রিন্টেড পাটিসাপটা, হোমমেড কেক বিবিখানা পিঠা, দুধ চিতই, ঝাল পিঠা, কালোজাম, বিবিখানা পিঠা, তিলের পিঠা, খোলাজা পিঠা, গুড়া দুধের সন্দেশ, গুড়ের পায়েস সহ নানা রকম পিঠার আয়োজন ছিল।
সাত রং স্টলে বিভিন্ন ধরনের কাপড় নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন উদ্যোক্তা জ্যাকলিন তনচংগ্যা। তিনি জানান, আমাদের পিনন-খাদি, থ্রিপিস, টপস, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, বার্মিজ লুঙগি, চন্দন, শীতের জন্য মাফলার, টুপি পাওয়া যাচ্ছে, বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে।
শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মুনতাসির জাহান এর সভাপতিত্বে এইসময় বক্তব্য দেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক খোরশেদুল আলম কাদেরী, সদস্য সচিব নাট্যজন আনিছুর রহমান।
এইসময় কাপ্তাই নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ কমান্ডার এম শাহজালাল, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী, সহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।