
ইমাম হোসেন জীবন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আলোর পথের অভিযাত্রী তথা র্যাবের নিকট আত্মসমর্পণকৃত সাবেক জলদস্যু মোঃ নাসির হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুইজন র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।
১৪ নভেম্বর রাত ১১ টায় নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অবস্থান কালপ ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সাকের হোসেন (৫৫) ২। জাহেদুল ইসলাম (২৫)কে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযান এবং কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত ২০১৮ এবং ২০২০ সালে মোট ৭৭ জন কুখ্যাত জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয় এবং তাদের আত্মসমর্পণ পরবর্তী সময়ে র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সহযোগিতার মাধ্যমে তারা সমাজে স্বস্তির সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে। নিহত ভিকটিম মোঃ নাসির এমনই একজন ব্যক্তি যিনি খারাপ পথ থেকে সরে আলোর পথের সন্ধানী হয়েছিলেন। নাসির কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে তথ্য দিয়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে সহায়তাও করতেন। গত ৩০ অক্টোবর ২২ইং রাত ১০টায় কতিপয় দুস্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাসিরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন নাসিরকে উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নাসিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় ০৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, উক্ত হত্যাকান্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সাকের হোসেন এবং জাহেদুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি আভিযানিক দল গত ১৪ নভেম্বর আসামীদে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীরা অকপটে স্বীকার যে, তারা মোঃ নাসিরকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৭ ও ৮নং পলাতক আসামী।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।