
মোঃ খোরশেদ আলম
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণরত সম্মানিত যাএীগনের ঞ্জাতার্থে।
১.টিকেট যার ভ্রমণ তার।
২.কাউন্টার হতে নিজে টিকেট কাটুন এবং অপরকে টিকেট কাটতে উৎসাহিত করুন।
৩.আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট ভ্রমণের দিন সহ ০৫(পাঁচ) দিন পূর্বে প্রদান করা হয়। এছাড়া ও সম্মানিত যাএী সাধারণ মোবাইল /অনলাইনের মাধ্যমে রেলওয়ের টিকেট ক্রয় করতে পারেন।
৪.প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড ও স্টেশন মাস্টার নিকট যাএী অভিযোগ বহি রক্ষিত আছে। সম্মানিত যাএী সাধারণ তাদের অভিযোগ বা পরামর্শ অভিযোগ বহিতে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন।
৫.ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন, ট্রেনের ছাদে,বাফার ও পাদানিতে ভ্রমণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৬.স্টেশন প্লাটফর্ম এবং ট্রেনের অভ্যন্তর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করুন।
৭.রেললাইন ও লেভেল ক্রসিং গেইট সতর্কতার সহিত অতিক্রম করুন।
৮.মোবাইল ফোন / হেডফোন ব্যবহার করা অবস্থায় রেললাইন অতিক্রম করা হতে বিরত থাকুন।
৯.অপরিচিত লোকের নিকট থেকে কোন খাবার বা পানি গ্রহণ করবেন না ;এতে আপনার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
১০. ট্রেনে অবৈধভাবে চেইন পুলিংকারী এবং হোস পাইপ বিচ্ছিন্নকারীদেরকে ধরিয়ে দেন।
১১.চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোঁড়া শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। ভ্রমণরত স্বজনদের নিরাপদে রাখুন।
১২.ট্রেনের যে কোন সমস্যার ক্ষেএে গার্ড, স্টুয়ার্ড, পরিচর্যক কিংবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তা নিন।
১৩.টিকেট কালোবাজারিদের প্রতিরোধ করুন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিকট সোর্পদ করুন।
১৪.সম্মানিত যাএীগনের সেবার আন্তঃনগর ট্রেনে খাবার গাড়ী সংযুক্ত রয়েছে। নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে সম্মানিত যাএীগন খাবার সংগ্রহ করতে পারে।
১৫. এসএমএস এর মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের সঠিক অবস্থান জানার ব্যবস্থা রয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন লাকসাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সিআই মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ।
ট্রেনের ছাদে, বাফার কিংবা ইঞ্জিনে ভ্রমণ করা বেআইনি এবং দন্ডনীয় অপরাধ।এধরনের ভ্রমণে আপনার জীবন ও সম্পদ ঝুঁকি আছে।এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। সময়ের চেয়ে জীবন মূল্য বেশি।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলে আপনারই আপনজন হতাহত হতে পারে,ক্ষতি হতে পারে জাতীয় সম্পদের। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের কারনে যদি কোন যাএীর জীবনের নিরাপত্তা ব্যহত হয়,তাহলে যে ব্যক্তি পাথর নিক্ষেপ করেছেন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
আপনার কিংবা আপনার সন্তানের খেয়ালী আচরণে মৃত্যু হতে পারে আপনার মতো একজন ট্রেন যাএীর।রেলওয়ে আইনের ১২৭,১২৮ এবং ১৩০ ধারা মোতাবেক ইহা একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই আইনের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের এ ধরনের অপরাধের জন্য অভিভাবকের শাস্তি বিধান রয়েছে। এধরনের অপরাধের কাজ হতে আপনি বিরত থাকুন এবং আপনার সন্তানকে বিরত রাখুন। রেলওয়ে সম্পওি চরি বা অবৈধ দখল বা অবৈধ ভাবে অর্জন করলে রেলওয়ে সম্পওি (অবৈধ দখল উদ্ধার) আইন-২০১৬ মোতাবেক অনধিক ৭ বৎসর এবং অপরাধ সংগঠনের সহায়তায়কারীর ৫ বৎসর কারাদণ্ড বিধান আছে।এ ধরনের অপরাধ তথ্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে দিন এবং রেল সম্পদ রক্ষা সহায়তা করুন।রেলগাড়ী ও রেলওয়ের মামলাল জাতীয় সম্পদ।রেল গাড়ি কোব যন্ত্র বিকল কিংবা নষ্ট করলে বা করতে চেষ্টা করলে রেলওয়ে আইনে যাবজ্জীবন বা ১০ বৎসর কারাদণ্ড বিধান আছে। ট্রেনের হুস পাইপ বিচ্ছিন্ন এবং এসিপি করা থেকে বিরত থাকুন। যারা যএতএ চেইন টেনে ট্রেন থামায়, তাদের ধরিয়ে দিন কারন যাএীবেশি –
* দুষ্কৃতিকারী কতৃক ছিনতাই এর শিকার হতে পারে।
* ডাকাত কতৃক ডাকাতি হতে পারে।
* চোরাকারবারি কতৃক ট্রেনে মাদক/চোরাই মাল উঠতে পারে।
রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং এ গেট ব্যারিয়াল ফেলার পরও বাস, ট্রক, মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিক্সা পারাপারের চেষ্টা করা কিংবা চলন্ত ট্রেনের সামনে দৌড় দেয়ার ফলে আপনার জীবন বিপন্ন হতে পারে। জীবন অমূল্য সম্পদ,জীবনের ঝুঁকি নিবেন না। গেট ব্যারিয়ার ফেলে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে গেটম্যানকে সহায়তা করুন, এটি আপনার নৈতিক দায়িত্ব। আসুন সবাই মিলে রেল চলাচলের সকল বাধা দূর করে নিরাপদ ট্রেন ভ্রমণ নিশ্চিত করি।রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিন ; নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলে সহায়তা করুন।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরো ছিলেন স্টেশন মাস্টার মোঃ সাহাব উদ্দিন, হেড টিএক্সআর জাকির হোসেন,, শ্রমিকলীগ নেতা হাছান আহম্মেদ পলাশ, আবুল কালাম, আরিফুল হায়দার মান্না, জাকির আহমেদ এস আর এলই( বিদ্যু বিভাগ) ও অন্যান্য আরএনবি সদস্য ও জিআরপি সদস্য এবং রেলওয়ে কর্মচারীগন।