
মোঃ আজম খাঁন চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭শে এপ্রিল আসনটিতে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইলেকট্রনিক মেশিনে ভোটগ্রহণ হবে। তবে এ আসনে সিসি ক্যামেরা থাকবে না। গত বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭শে মার্চ। মনোনয়ন বাছাই ২৯শে মার্চ। মনোনয়নপত্র আবেদন প্রত্যাহার ৫ই এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ৬ই এপ্রিল। এ ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের আগামীর নানা পরিকল্পনা, নতুন নেতৃত্বসহ বিভিন্ন ভিশন ঘিরে এবার আলোচনায় নতুন করে স্থান পেয়েছে প্রবীণের পাশাপাশি তরুণ নেতাদের নামও। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আসনটি শূন্য হওয়ার পর থেকেই নৌকার কান্ডারি কে হচ্ছেন, কারা আলোচনায় আছেন, কেমন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন—এমন আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। আলোচনায় নানান যোগ্যতা, ত্যাগ, নির্যাতিত-অবহেলিত নেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও নগর আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক সহ আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য ও সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি ব্যারিষ্টার এস.এম কফিল উদ্দিন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য। ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ছাত্রলীগ করে আসা কফিল উদ্দিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডভাইজার, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির। মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল।
আগামীতে দলের নানা ভিশন ও নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণদের এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে নতুন ও তরুণ নেতৃত্ব তৈরি করবে দল—এমনটা মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দল যদি মনে করে আমাকে মনোনয়ন দিলে ভালো হবে, তাহলে আমাকে দেবে। চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী নিয়ে এ আসন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ভোটারই নগরের। বাকি ৩৫ শতাংশ ভোটার বোয়ালখালীর। তবে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিবো। দলের মনোনয়নে পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানান নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী এস.এম কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, বোয়ালখালী বাসীর তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে দুঃখ কালুরঘাট সেতু আশা করি আল্লাহ যদি আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেন এবং আমি নির্বাচিত হলে এই সেতু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। চট্টগ্রাম ৮ আসনের কোন মানুষ যেন নির্যাতিত না হয়, অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাই যেন সুবিচার পায় সেটা আমি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমার নির্বাচবী এলাকায় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।