
মোঃ মামুন সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমে উঠেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বিএনপি- জামায়াতসহ বিরোধী দলের অংশগ্রহণ থাকলে নির্বাচন আরও জমজমাট হতো বলে স্থানীয়রা বলছ
এবারের নির্বাচনে চারজন উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান কালাম, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাবুল ওমর বাবু, থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, থানা যুবলীগের সেক্রেটারি মো. আলি হায়দার।
জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার আনাচে-কানাচে প্রার্থীদের পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটের মোড়সহ ওই এলাকার অলি-গলিতে প্রার্থীদের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটাররাও তাদের এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়নে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। নির্বাচনের বৈতরনী পার হতে নানা কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। অনেকেই এলাকার উন্নয়ন এবং ভোটারদের সুবিধা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন।
বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা জানায়, সব নির্বাচনই একটা আনন্দ থাকে। এ নির্বাচনে বিএনপি থাকলে আরও ভালো হতো। এখন তো সবাই আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। অন্য কোনো দলের প্রার্থী নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করবো যাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে আমরা তাকেই ভোট দিবো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী চারজন হলেও মূল লড়াই হবে কালাম (ঘোড়া প্রতীক) ও বাবু (আনারস প্রতীক) এর মাঝে। কালাম এর আগে তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিলেন। এছাড়া তিনি এ উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যার কারণে এ উপজেলার তার একটা বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে।
এদিকে বাবু বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান থাকায় তিনি উপজেলার আনাচে-কানাচে ঘুরে পরিচিতি লাভ করেছেন।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে দিন-রাত গণসংযোগ ও উঠান বৈঠন করছেন।
অন্যদিকে এমপিরা কাউকে সমর্থন দিতে পারবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ রয়েছে। এরপরও বিভিন্নভাবে স্থানীয় এমপিরা পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন। এদিকে সোনারগাঁও উপজেলার এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সরাসরি কাউকে এখনও সমর্থন দেননি। তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে কায়সার বাবুকে সমর্থন দিয়েছে।