সন্তানের অর্জন-আনন্দে শরিক হলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ২৬ জুলাই ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক আয়োজিত ১১ তম সমাবর্তন ২০২৫ রাজধানী ঢাকার সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত ক্যান্টনমেন্টের সেনা প্রাঙ্গণ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের গাউন পরে বন্ধু, সহপাঠী, পরিচিতদের নিয়ে সেইসব স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন । কেউ কেউ তাদের বাবা-মাকে সেনা প্রাঙ্গণ কনভেনশন হলে নিয়ে এসেছেন।অভিভাবকদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। তাদের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়ে মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখছেন গ্র্যাজুয়েট সন্তানরা। কেউ কেউ মা-বাবার গায়ে জড়িয়ে দিচ্ছেন গাউন, হ্যাট। তাদের নিয়ে ঘুরছেন পুরো সেনা প্রাঙ্গণ কনভেনশন হলে । ছেলে-মেয়ের এমন অর্জনে মুখে হাসির কমতি নেই মা-বাবাদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। মা-বাবাকে নিয়ে সমাবর্তন নেওয়া তাদের স্বপ্ন। মা-বাবারাও বলছেন, আজ তাদের গর্বের দিন। সন্তানের সমাবর্তনে অংশ নিয়ে আনন্দের সীমা নেই তাদের। সেনা প্রাঙ্গণ কনভেনশন হলে দেখা হয় ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক থেকে সমাবর্তন নেওয়া ২০২০-২১ সেশনের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন মোঃ মোনেম শাহরিয়ার রাফি’র সঙ্গে। সমাবর্তনে তিনি গোপিবাগ, ঢাকা থেকে বাবাকে নিয়ে এসেছেন।তার পিতা -মোঃ নাসির উদ্দিন মিলন একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক,মাতা- তাহমিনা নাসির লিপি একজন গৃহিনী। অনুভূতি জানতে চাইলে দৈনিক ভোরের আওয়াজকে তিনি বলেন, ‘মা-বাবাকে আগেই বলেছি সমাবর্তনে আসতেই হবে।কিন্তু মা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শুধূমাত্র বাবাকে নিয়ে এসেছে। বাবাকে নিয়ে আসতে পেরে গর্ববোধ করছি। এই ডিগ্রি অর্জনে শাহরিয়ার রাফিসহ তার পরিবারের সকলেই গর্বিত।সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে শাহরিয়ার রাফি তার এই অর্জন পরিবারের জন্য উৎসর্গ করেন। আমার আনন্দ বেড়ে গেছে হাজারগুণ। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তার পিতা মোঃ নাসির উদ্দিন মিলন বলেন, ‘ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পর থেকেই স্বপ্ন ছিল তার সমাবর্তনে যাব। আমার যে আজ কত খুশি লাগছে বুঝাতে পারব না। আমার আজ স্বপ্ন পূরণের দিন।’ তার বাবা আরও বলেন, ‘আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। ছেলের সমাবর্তন উপলক্ষে মাসখানেক আগে থেকেই এই প্রস্তুতি ছিল। আমার জীবনের চেয়ে ছেলের সমাবর্তনে আমি আনন্দিত।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জানাবা মাহবুবাহক। প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডক্টর বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।এক পর্যায়ে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদ এক ভিডিও বার্তায় মোনেম শাহরিয়ার রাফি সহ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত