
এ.এস.রানা,আনোয়ারাঃ
গতকাল (১৪ই ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক ১০ টায় ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়া পাড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালিয়ে ১নং ওয়ার্ডের সিপাইর বাড়ীতে চোলাইমদ বাজারজাত করার সময় ৯৫ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাইমদ নিয়ে ছেনোয়ারা বেগম (৩৮)কে আটক করেন আনোয়ারা থানা পুলিশ।ক্রেতাসহ অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়৷আটককৃত আসামী পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি নাছির উদ্দীন (৪৮) এর স্ত্রী। তিনি ৩নং রায়পুর উত্তর পরুয়া পাড়া সিপাইর বাড়ীর মৃত জালাল আহমদের পুত্র।সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার এসআই মোঃ বিল্লাল হোসেন, এসআই খায়রুজ্জামান ও এএসআই রেজাউল করিম ও তাদের সঙ্গীয় ফোর্স সহ ওই এলাকায় অভিযান চালান।ওই বাড়িতে সন্দেহ হলে তল্লাশি করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেন পুলিশ। ওই সময় সিপাইর বাড়ীতে খাটের উপর বসিয়ে প্লাষ্টিকের পোটলা হতে চোলাইমদ প্লাষ্টিকের বোতলে বাজারজাত করার সময় এই মহিলাকে আটক করেন।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এই ব্যাবসা করে আসছে।নাম অজানা অনেক নারী – পুরুষসহ সন্দেহজনক স্থানীয় ও শহুরে লোকজন তাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করতো।এই সময় ৫টি প্লাষ্টিকের বোতলে ২ লিটার করে ১০ লিটার ও আসামীর খাটের নিচ থেকে ২টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ১৭ পোটলা ৫ লিটার করে ৮৫ লিটার সর্বমোট ৯৫ লিটার দেশীয় চোলাইমদ জব্দ করা হয়।যার আনুমানিক মূল্য ৪৭,৫০০ টাকা।গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামীর বর্ণিত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। এবং তারা দুইজন স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চোলাইমদ ব্যাবসা করে আসছে বলে স্বীকার করেন৷ আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ জানান, বর্ণিত এলাকায় দুইজন লোক চোলাইমদ ব্যাবসা করে আসছে বলে গোপন সংবাদে জানতে পেরে গতকাল আমাদের পুলিশ টিম অভিযান চালালে আটককৃত আসামীর ঘরে বিক্রির উদ্দেশ্যে মদ প্লাষ্টিকের বোতলে বাজারজাত করার সময় তাকে হাতে নাতে আটক করে এবং আরো কয়েকজন লোক পালিয়ে যায়।এসময় আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, পলাতক আসামী তার স্বামী ও তারা দুজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চোলাইমদ ব্যাবসা করে আসছে বলে স্বীকার করেন৷তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীসহ জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে ।