লক্ষ্মীপুর মান্দারীতে মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে দু ‘ পক্ষের মধ্যে উওেজনা বিরাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪ নং মান্দারী ইউনিয়নে অবস্থিত গন্ধব্যপুর ইসঃ( সিনিঃ) আলিম মাদ্রাসায় এডহক কমিটি গঠন নিয়ে মান্দারী ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইউনিয়ন বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থীত ডক্টর রেজাউল করিমকে মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করায় মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপি নেতারা হুমকি দিয়েছে বলে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা ‘র অধ্যক্ষ মো: ওমর ফারুক বলেন, ১৯ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড,ঢাকা কর্তৃক চার সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত আদেশে সভাপতি ডক্টর মো: রেজাউল করিম, সদস্য সচিব মো: ওমর ফারুক, সাধারণ শিক্ষক সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আলম, অভিভাবক সদস্য বাহার উদ্দিন।অনুমোদন আদেশ মোতাবেক গত ১৪ ই আগস্ট আমরা এডহক কমিটির মিটিং করি, সেখানে সভাপতি ডক্টর মো : রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় দিক নিদের্শনা দিয়ে চলে যান। কিন্তু গতকাল রবিবার সকালে ১৪ নং মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে কমিটির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চায়, কেন মিটিং করা হয়েছে, কার সাথে আলোচনা করে কমিটি করা হয়েছে এবং দ্রুত এই কমিটি বাতিল করার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক নিদের্শনা মোতাবেক এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে, প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত কমিটি বাতিল করার এখতিয়ার আমাদের নেই।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়াজ মাহমুদ বলেন, আমরা শুধু বলেছি সমন্বয় করে কমিটি করার জন্য, কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে কমিটি করেছে এটা স্হানীয় জনসাধারণ মেনে নিতে পারেনি। দাতা পরিবারের সদস্যদেরও অবহিত করা হয়নি। পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবে বিএনপিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও জামায়াতে ইসলামী। তিনি আরও বলেন, ডক্টর মো : রেজাউল করিম একজন সম্মানিত মানুষ। আমি কেন উনার বিরোধিতা করবো, বরং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও জামায়াতে ইসলামী ওনাকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়ে আমার ও আমার দলের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী ইউনিয়নে অবস্থিত কফিলউদ্দিন বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ, প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ও সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু গন্ধব্যপুর ইস: আলিম মাদ্রাসায় কেন এ বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো, জনসাধারণ এ বিষয়ে জানতে চায়। দাতা পরিবারের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ( বাবুল নেতা) বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এ প্রতিষ্ঠানে জমি দান করেছে, সহযোগিতা দিয়ে প্রতিষ্ঠান করেছে। অথচ আমরা কিছুই জানিনা এখন কিভাবে কমিটি হয়, কিভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা হয়, কিভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় কিছুই জানিনা। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে জমি আমরা আরও দিব সহযোগিতা করবো, যদি আমাদের মূল্যায়ন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা নিতান্তই ভুল কথা, এখানে কোন উওেজনা হয়নি, কাউকে হুমকি দেওয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়ার সাথে আরও কথা বলেন, মো: মোরশেদ আলম প্রভাষক আরবি, অধ্যাপক খোরশেদ আলম, মো: নুরুল আলম সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক প্রতিনিধি, মো:মাহফুজুল ইসলাম মান্দরী ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও আমির হোসেন অভিভাবক সদস্য প্রমূখ।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত