
মো:ইসমত দ্দোহা, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জথানাধীন দীঘলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার বাড়িতে গতকাল গভীর রাতে একদল অজ্ঞাত যুবকের হানা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। দরজা খোলার চেষ্টা করে দরজা খুলতে না পেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায় তারা, এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। দিঘলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড রাজাপুর ভুইয়া বাড়িতে বুধবার রাত আনুমানিক ১.০০টার সময় এই ঘটনা ঘটে।বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ১৩ নং দীঘলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান সাহেদ বলেন, আমাদের ভূঁইয়া মার্কেটের নাইট গার্ড আক্তার হোসেন রাত আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটের সময় কল দিয়ে আমাকে জানায় কিছু অপরিচিত লোক আপনার বাবার খোঁজ করতেছে, আপনাদের বাড়ির ঠিকানা জানতে চেয়েছে, আপনারা সতর্ক থাকবেন।
তার কিছু সময় পর রাত ১.০০ টার দিকে কয়েকজন লোক আনুমানিক ৭ জন লোক মোবাইলের আলো জালিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। দরজা ধাক্কা দেয়, দরজা খোলার চেষ্টা করে। দরজা খুলতে না পেরে গালমন্দ করে, ঘরের চারিদিকে ঘুরে, এরই মাঝে আমরা আমাদের পরিচিতদের মোবাইলে কল দিই।
আশেপাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে তারা। পরিবার প্রধান আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, একটা অপরচিত নাম্বার হতে রাত ১২.৪৭ মিনিটের সময় আমাকে কল দিয়ে কথা বলতে চায়, দেখা করতে চায়। জানতে চাইলে বলে কিছু দলিলের কাগজ পএ দেখাবে আমায়, আমি এতো রাতে দেখা করতে আপওি জানাই। এর কিছুক্ষণ পরেই কিছু লোক বাড়িতে প্রবেশ করে। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের ভিতরে ভয়ে ভয়ে বসে থাকি। দরজা খোলার জন্য আমাকে ডাক দিলেও আমরা কোন সাড়া দিইনি, সাড়া না পেয়ে দরজা ধাক্কা দেয়, গালমন্দ করে, জানালা দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করে।
সবকিছু মিলিয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা সংকটে আছি। তিনি আরও বলেন, আমি শান্তি প্রিয় মানুষ রাজনীতি করি, দলিল লেখক হিসেবে কাজ করি তবে গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলা হবে এমন কোন কাজ আমি করিনি কখনো। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে অস্বাভাবিক এই লোকদের আগমনে এলাকাতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দীঘলী ইউনিয়ন বিএনপির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কাজী নুরুল আমিন বলেন, গতকাল রাতে আমরা মোবাইলে ঘটনা শুনার পরপরই স্হানীয় জনসাধারণ নিয়ে বাজারে ও নিরাপদ দুরত্বে আবস্থন নিই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্সকৃতিকারিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।ঘটনার বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়জুল আজিম (নোমান) বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি এ বিষয়ে আমাদের একটা টিম এ বিষয়ে কাজ করতেছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমি মোবাইলে ঘটনা জানার সাথে সাথে মান্দারী এলাকায় আমাদের টহল পুলিশের দলকে অবহিত করি। এস আই আব্দুর রহিম তার টহল টিমের সদস্যদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা মোবাইল নাম্বার পেয়েছি সে নাম্বারে কল দিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি, আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত কোন অভিযোগ করেনি থানায়।