মোকাব্বিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় গতি নেই গণফোরামে, আক্রোশে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজকের কর্ণফুলী ডেস্কঃ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী গণফোরামের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ শপথ নেয়ার পর তড়িৎ সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হলেও মোকাব্বির খানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছে গণফোরাম। ২ মার্চ দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান।এদিকে গত ৭ মার্চ শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুলতান মনসুরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। এমনকি ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বহিষ্কারাদেশের চিঠিও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু মোকাব্বির খানের শপথ নেওয়ার পর গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করলেও দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য শপথ গ্রহণ করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। অবশ্যই দলীয় প্রধান ড. কামাল হোসেনের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’কেন সিদ্ধান্তে সময় নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। একটু ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন, বললাম তো অচিরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।এদিকে বিএনপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মোকাব্বিরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করছে গণফোরাম। এতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ড. কামালের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ নিজ দল বাদ দিয়ে অন্য দলের বিষয়ে বেশি নাক গলান ড. কামাল। তার কারণে বিভিন্ন সময়ে বিএনপিতে বিভক্তিও দেখা দিয়েছে।এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা জাস্ট আশাহত। সুলতান মনসুরের শপথের পর তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়া হলো অথচ মোকাব্বিরের ক্ষেত্রে সেরকম কিছুই হলো না। এখন মনে হচ্ছে এসব ড. কামালের কারসাজি। যদিও এই গুঞ্জন নতুন নয়। মনে হচ্ছে ড. কামালকে বিশ্বাস করে আমরা সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।যদিও সুলতান মনসুরের মতো মোকাব্বির খানও ড. কামালের অনুমতি সাপেক্ষে শপথ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ফলে ড. কামালের নির্দেশেই দলের দুজন শপথ নিলো- এ ব্যাপারে বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা নিশ্চিত।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত