টেকনাফ স্থল বন্দরে জুলাই মাসে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদ বাবুল, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে গত জুলাই মাসে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে পন্য আমদানী স্বাভাবিক থাকায় ব্যাপক রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। তবে চলমান বানিজ্যিক অবস্থা বলবৎ থাকলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে জানায় বানিজ্য সংশ্লিষ্টরা।
শুল্ক ষ্টেশনের তথ্য মতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম জুলাই মাসে ৩৫৭টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এই মাসে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। এতে মিয়ানমার থেকে ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার পন্য আমদানি হয়।
এছাড়া শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে ১০ হাজার ৯৫টি গরু, মহিষ আমদানী করে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫শত টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। অপরদিকে ৩৬টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার টাকার পন্য মিয়ানমারে রপ্তানি করা হয়েছে। তবে রপ্তানী বাড়াতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করছেন বানিজ্য ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমার থেকে শতভাগ পন্য আমদানী হলেও বাংলাদেশ থেকে পন্য রপ্তানী হচেছ কম। যার ফলে দুদেশের মধ্যে ঘাটতির পরিমান বেড়েই চলছে। বানিজ্য ব্যবসায়ীরা জানায়, সীমান্ত বানিজ্যে আমদানী রপ্তানী ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে নানা সমস্যার কারনে কিছু ব্যবসায়ী অন্যান্য বন্দরের দিকে ঝুকে পড়ছে। তবে বন্দরকে ঘিরে হয়রানীসহ সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হলে পন্য আমদানী ও রপ্তানী আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ ময়েজ উদ্দীন বলেন, চলতি অর্থ বছরের প্রথম জুলাই মাসে একের পর এক বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানির ফলে রাজস্ব আদায়ও বেশি হয়েছে। তবে পন্য আমদানী স্বাভাবিক থাকলে রাজস্ব আয় আগের অবস্থা ফিরে আসবেন। সীমান্ত বানিজ্য ব্যবসাকে গতিশীল ও স্বাভাবিক রাখতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত