
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আইনজীবীদের মত সাংবাদিকদেরও নিবন্ধন থাকা দরকার। আইনজীবীরা যেভাবে বার কাউন্সিলে নিবন্ধন নেয়, তেমনই প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের নিবন্ধন দিতে পারে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণমাধ্যমের বিদ্যমান সঙ্কট ও সাংবাদিকদের স্বার্থ সুরক্ষা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুল হক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের রেজিস্ট্রেশন করা উচিত। তেমনই সাংবাদিকদের সংজ্ঞা আরো সুনির্দিষ্ট করা উচিত বলে মনে করি। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার এ যুগে আমিও সাংবাদিক। ফেসবুক চালাই, সংবাদ পরিবেশন করি। যদিও প্রেস কাউন্সিলে সাংবাদিকদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা আছে, তারপরও সেটা আরো সৃনির্দিষ্ট করা উচিত মনে করি।’ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য গণমাধ্যম আইন করছে। এটি এখন আইনমন্ত্রণালয়ে ভেটিং এ আছে। আইনটি বাস্তবায়িত হলে পত্রিকার জন্য, ইলেকট্রনিক মিডিয়া কিংবা নিউ মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বেতার ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা ওয়েজবোর্ড গঠন করা হতে পারে। শ্রম আইন-২০০৬ ধারা মোতাবেক শুধু পত্রিকার ওয়েজবোর্ড এর কথা বলা হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া নেই। তাই এই আইন থেকে বেরিয়ে যুগোপযোগী গণমাধ্যম আইন করা হয়েছে। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, এ আইনের সঙ্গে আগের শ্রম আইনের কোন বিষয় নিয়ে সাংঘর্ষিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য একটি মিনি কমিটি রয়েছে। সেটি এখন কাজ করছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব। সাংবাদিকদের স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত এই গোল টেবিল বৈঠকের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক, সাবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা কাজী রফিক, জাকারিয়া কাজল, অনুপ খাস্তগীর, খায়রুজ্জামান কামাল, সাজ্জাদ আলম খান তপু, অমীয় ঘটক পুলক প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউ এর দুই সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী ও রাজু আহমেদ, বিএসআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, ডিআরইউ এর কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম বিলু, খাইরুল আলম, জোবাইর চৌধুরী প্রমুখ।