কুমিল্লাবাসীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাহফুজ বাবু ;

জেলা পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সংগঠন ও আশেপাশের এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে কুবি’র ভর্তি যুদ্ধ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ভর্তি পরীক্ষা অংশ গ্রহণকারী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কুমিল্লা বাসীর ভালোবাসা, আদর আপ্যায়ন ও নিরাপত্তায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা অনেকটা জামাই আদরই পেয়েছেন এবার! পরীক্ষার সব কটি কেন্দ্রে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে শরবত ও বিশুদ্ধ বোতলজাত খাবার পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে সকাল থেকে । এছাড়া, ব্যাগ, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল স্কাউট সদস্যরা রেখেছেন পাহারা দিয়ে তাদের নিজ জিম্মায়।নগরীর সড়কগুলোতে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পেতে সহায়তা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে থাকা, যাতায়াত ও ভর্তি বিষয়ে জানার জন্য নানা প্রশ্ন করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লার স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উত্তর প্রদান করছেন অনলাইনে । ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মিঠুনের মা জানান, গাড়ি থেকে নামার পর স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে। নিজ থেকে জানতে চাইছে, কোথায় যাবেন, কোথায় কেন্দ্র, সিট খুঁজতে সহায়তা করেছে তারা । বিষয়টি খুব প্রশংসনীয়। অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের স্কাউটস সদস্যরা কোলে তুলে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। শুধু কিছু অতিরিক্ত ভাড়া পরীক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা ভর্তিচ্ছু মিঠুন বলেন, রাস্তায় জ্যাম না থাকাতে যথাসময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও স্বেচ্চাসেবীরা খাবার পানি, শরবত বিতরণ করছে। এটা ভালো দিক। এছাড়াও সিসিএন শিক্ষা পরিবারের সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্র বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৭০ হাজার পানির বোতল বিতরণ করা হবে। হামদর্দ কুমিল্লা জেলা জোনের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ করা হয়। যা ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিতরণ করা হয়।
অপর দিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের অনেকেই গতকাল গভীর রাতে আসার কারনে তারা রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। বেশীরভাগ আবাসিক হোটেলেই রুম বুকিং থাকায়। শীতে রাতভর বাইরে ঘুরতে হচ্ছিলো অনেক কে। আর তাই শীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পুলিশ লাইন এর ভিতর নবনির্মিত ছয়তলা নামের ব্যারাকটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরদের থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আর যিনি এই মহৎ উদ্যোগটি নিয়েছেন তিনি হলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম, । ইতোমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আসতে শুরু করেছেন ব্যারাকে। শুধু নিরাপদে থাকাই নয় শিক্ষানুরাগী এই মানুষটির নির্দেশনায় তাদের মাঝে কম্বল, মশার কয়েল, খাবার পানি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিচ্ছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
পুলিশ জনগনের সেবক এবং বন্ধু বিচনায় এর চেয়ে উত্তম উদাহরণ আর কি বা হতে পারে?
সবমিলিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা কুমিল্লাবাসীর ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েন অনেকেই।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত