
আজকের কর্ণফুলী ডেস্কঃ
পরপর দুইবার ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। লন্ডনের একই আসন থেকে এবার তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। তার সামনে এখন হ্যাটট্রিক জয়ের চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে যে পাঁচ-ছয়টি আসনের জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটার ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের উন্মুখ দৃষ্টি; তার একটি হলো টিউলিপের হ্যামপস্টেড ও কিলবার্ন। লন্ডনের আসনগুলোর মধ্যে এবারও সেখানেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের ল’ড়াই হবে। নব্বইয়ের দশক থেকে এ আসনটি ব্রিটেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। দুই দফায় আইনপ্রণেতা হওয়ার পর ব্রিটেনের নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে রীতিমত ঝড় তুলতে সক্ষম হন টিউলিপ। সাড়ে চার বছরের কম সময় দায়িত্ব পালন করেই তিনি ব্রিটেনের রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন।১৯৯২ সাল থেকে অস্কারজয়ী বরেণ্য অ’ভিনেত্রী গ্ল্যান্ডা জ্যাকসন দীর্ঘ ২৩ বছর হ্যামপস্টেড ও কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে তিনি মাত্র ৪২ ভোটে জয় পান। তার পর এই আসনে প্রার্থী হন টিউলিপ। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়।
তার মা বাবার বিয়েও হয়েছিল এই কিলবার্নেই। ২০১৫ সালে এ আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হন টিউলিপ। ওই নির্বাচনে ২৩,৯৭৭ ভোট পান তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ৩৪,৪৬৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। লন্ডনে জন্ম নেওয়া টিউলিপ ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে যুক্ত হন ব্রিটিশ রাজনীতিতে। আইনপ্রণেতা হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেনের কাউন্সিলর ছিলেন।চার দশক ধরে লন্ডনে বসবাস করা লেখক ও অধ্যাপক ড. রেনু লুৎফা বলেন, এলাকার ভোটারদের কাছে টিউলিপের জনপ্রিয়তা অনেক। আ’মেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা’ম্পকে ব্রিটেনে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করে টিউলিপ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পার্লামেন্টের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তা ছাড়া কিলবার্নে বিপুল সংখ্যক মু’সলিম ও পূর্ব ইউরোপীয় ভোটার রয়েছে। তাদের সম’র্থন থাকবে টিউলিপের প্রতি।’টিউলিপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানোর মেয়ে। একদিকে পারিবারিক পরিচয়, অন্যদিকে লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে প্রার্থিতা-তাই টিউলিপ সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্রে।