
চৌধুরী মুহাম্মদ রিপনঃ
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। প্রতিদিনই হাজার হাজার প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এ ভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের দাফনে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মৃতদেহ থেকে করোনা সংক্রমণ যাতে না ঘটে সে জন্যই এ নির্দেশ মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।গত ২৫ মার্চ এ নির্দেশনা জারি করে (ডব্লিউএইচও)। ‘কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় মরদেহের নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এ নির্দেশগুলোর কথা জানায় তারা। এ নির্দশনাগুলো হলো-১. হেমোরেজিক ফিভার যেমন- ইবোলা, মারবার্গ ও কলেরা ছাড়া অন্য কোনো রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহ থেকে সাধারণত রোগের সংক্রমণ ঘটে না।
২. এখন পর্যন্ত (২৪ মার্চ) করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের মৃতদেহ থেকে করোনার সংক্রমণ ঘটার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
৩. যারা করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ তত্ত্বাবধান করেন অর্থাৎ যদি ময়নাতদন্ত করেন, তাদের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তাদের হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থা ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) থাকে।
৪. তাড়াহুড়ো করে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা উচিত নয়।
৫. মৃতদেহ দাফনের জন্য যারা প্রস্তুত করবেন, তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যিনি গোসল করাবেন তিনি মেডিকেল মাস্ক, গ্লাভস, ডিসপোজেবল গাউন ও চোখে গগলস পরবেন।
৬. মৃতদেহ কাপড় দিয়ে মোড়ালেই হবে। কোনো ব্যাগের দরকার নেই। তবে, যদি মরদেহ থেকে অতিরিক্ত তরল পদার্থ বের হতে থাকে, তাহলে ব্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।
৭. মৃতদেহে কোনো ধরনের ক্যামিকেল ছিটানোর দরকার নেই।
৮. মৃতদেহ পরিবহনের জন্য আলাদা বিশেষ কোনো পরিবহনের দরকার নেই।
৯. মৃতদেহ যদি পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে চান, তাহলে সতর্ক অবস্থানে থেকে তারা দেখতে পারবেন। কিন্তু, কোনো অবস্থাতেই ছোঁয়া যাবে না। মরদেহ দেখা শেষে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
১০. যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব তাদের সরাসরি মরদেহের সংস্পর্শে যাওয়া উচিত নয়।
১১. নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী জানাজা, দাফন বা সৎকার করা যাবে।
১২. যারা মরদেহ দাফন করবেন, তাদের গ্লাভস পরে নিতে হবে এবং কাজ শেষে গ্লাভস খুলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।