মহামারি “করোনা” দায়ী কে- 🌏

নিজস্ব প্রতিবেদক

কামরুল ইসলামঃ

মহান আল্লাহ পাক্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরানে সূরা- আল-রুম [৩০] নং আয়াতে বলেন-“স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান,যাতে তারা ফিরে আসে”।
অন্যদিকে সূরা_আল-বাকারার [৪৩]নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন “নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।
এইছাড়াও আল্লাহ সূরা নিসার ৭৮ নং আয়াতে বলেন তোমরা যেখানেই থাক না কেন,মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই।যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর,তবুও।বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে,এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে,এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে,বলে দাও,এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে।পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে,যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না।

করোনায় কাঁপছে পৃথিবী।পৃথিবীর সব পারমানবিক শক্তিধর দেশ গুলি কি পারে না তাদের পারমানবিক বোমা,হাইড্রোজন বোমা,নৌবহর পাঠিয়ে সামান্য ভাইরাস যা চোখ দেখা যায় না তা প্রতিহত করতে।অবশ্য তা তারা পারবে না। এইটি মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষনা।
তাই আজ থেকে ১৪৫০ বছর আগে মহা মানব নবী করিম (সঃ)বলেন যখন প্রতিটি দেশে নারী,পুরুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হবে আর ঐ ঘটনা তারা তাদের ঘনিষ্ট জনের নিকট অনেকটা ভাবাবেগে প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করবে তখন সারা পৃথিবীতে মহামারি সংঘটিত হবে যা কোন না কোন ভাবে তারা নিজেরাই দায়ী থাকবে।
আজ পুরো পৃথিবী জুড়ে ব্যভিচার চলছে। যেখানে পাপিয়াদের রাজত্ব চলে আবার পাপিয়ারা গৌরব করে সবার সম্মুখে প্রচার করে”একজন কে ছাড়া বাকি সকলকে মধু খাওয়ানো যায় সেই সমাজ ব্যবস্হায় মহামারি দেখা দিবে যা স্বাভাবিক।পুরো পৃথিবীতে
আজ পাপিয়াদের রাজত্ব চলছে।
১৪৫০ বছর আগে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ( সঃ) বলেন, যখন মহামারি দেখা দিবে তখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে কেউ যাতায়াত করবে না। যে যেখানে থাকবে সে সেখানে অবস্হান করবে বর্তমানে আমরা যাকে বলছি
হোম কোয়ারেন্টাইন।
এই দুঃসময়ে আমাদের উচিত বেশি বেশি মহান রবের নিকট দোয়া করা। যারা মুসলিম তারা প্রতিদিন সকালে ও রাত্রে নামাজ আদায় করে তিন বার সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়তে পারেন।এই ছাড়াও যারা আয়াতুল কুরসি জানেন তারা সব সময় তা পড়ার চেষ্টা করতে পারেন।অন্যের ধর্মের যারা তারা নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে পারেন।তাহাছাড়া প্রতিটি মুসলমান প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে যার যার অবস্হান থেকে দোয়া করতে পারেন এই বলে — -“হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে উম্মাদ কুষ্ঠ,ধবল সহ বিভিন্ন রোগ ও মহামারি থেকে রক্ষা করো।তুমি একমাত্র আশ্রয় দাতা। এই মুহুর্তে
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও সরকার কর্তৃক নির্দেশনা গুলি আমাদের স্বার্থে আমাদের মানতে হবে গুজব হতে বিরত থাকতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে অন্যকে সচেতন করতে হবে।
এই পৃথিবীতে যদি মানুষই না থাকে তাহলে প্রেম ভালবাসা সহ সব আয়োজনই বৃথা।
তাইএই মুহুর্তে আমাদের সকলকে আমাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে অনুতপ্ত হতে হবে,ক্ষমা চেয়ে তওবা করলে হয়ত মহান প্রভু আমাদের ক্ষমা করতে পারেন। না হয় মৃত্যু অবধারিত।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত