
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
সারাদেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চল ও মহানগর গুলোতে চাহিদার তুলনায় মান সম্মত সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রচন্ড অপ্রতুলতার কারনে বেসরকারি পর্যায়ে কিন্ডারগার্টেন বা সমমানের প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আগামীর প্রজম্মের সুন্দর ভবিষৎ নিশ্চিত করতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হাকে এগিয়ে নিতে কিন্ডারগার্টেন বা সমমানের প্রতিষ্ঠান সমুহ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।শিক্ষার প্রসারে জনবান্ধব এই সরকারকে এই সব প্রতিষ্ঠান সমুহ সহযোগিতা করে আসছে।বিনা মুল্যে বই,প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী,অষ্টম শ্রেনী পরীক্ষা সহ
বর্তমান সরকার বহু সুযোগ সুবিদা ও প্রদান করেছে।তাহাছাড়া প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করতে ও তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হার উত্তরণ ঘটাতে এই শিক্ষা ব্যবস্হার ভুমিকা প্রশংসনীয়।বর্তমান করোনা পরিস্হিতিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে দেশ,জাতিকে রক্ষা করতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা হয়েছে।
মুলত এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র ছাত্রীদের নিকট হতে প্রাপ্ত
মাসিক বেতন নির্ভর।বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়া পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
এই অবস্হায় সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সদস্য ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এসোসিয়েশনের রেজিস্টি ভুক্ত নয় এমন সব কিন্ডার গার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে
আর্থিক প্রনোদনা দিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির পক্ষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি লায়ন মোঃ দিদারুল ইসলাম, বিভাগীয় উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী কবি ও লেখক মোঃ কামরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি লায়ন মোঃ
কবিরুল ইসলাম বলেন,বর্তমান সরকার শিক্ষার যে উন্নয়ন করেছেন তা অকল্পনীয়। বিশ্ব এই দুর্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের ঘর ভাড়া,সকল শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।।যারা অল্প বেতনে শিক্ষকতার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা নিয়োজিত ছিলেন তাও আজ বন্ধ।তাহাছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের নিকট হতে গৃহীত মাসিক বেতন বন্ধও অনিশ্চিত হওয়ায় কিন্ডার গার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহকে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পুরো প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্হাকে সচল রাখতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আর্থিক প্রনোদনা ঘোষনা করলে শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে রক্ষা পাবে।