
রাসেল চৌধুরী :
আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ একজন বিরল ব্যক্তিত¦। তিনি এ উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব, যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামী স্কলার ছিলেন। তিনি আজমৃত্যু প্রিয়নবীর সুন্নাতের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।
১৯২৮ সনে ২৮ ডিসেম্বর ১৪ পৌষ বাংলা ১৫ রজব চট্টগ্রামের জালালাবাদ ওয়ার্ডে সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাযী পরিবারে হাশেমী বংশে এই মহান ব্যক্তিত্ব জন্ম। তিনি একাধারে ছিলেন সারা দেশের অসংখ্য আলেমদের শিক্ষক। ইসলামী জগতের প্রতিটি বিষয়ে পান্ডিত্ব ছিল আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীর। হাদিস শাস্ত্র, ফিকহা ও তসসিরে ছিলেন যুগ শ্রেষ্ঠ। তিনি ছিলেন সাইখুল মুহাদ্দেসীন। আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী ছিলেন শায়খুল হাদিস ওয়াল ফিকহ ওয়াত তাফসীর।
শৈশবে পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষার হাতে কড়ি। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন্ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন এবং দক্ষতার সাথে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল। শৈশব থেকে অত্যন্ত মেধাবী আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী উপমহাদেশের সর্বউচ্চ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ ঢাকা সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল ফাষ্ট ক্লাস ফাষ্ট। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে উর্দু ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯২৮ সনে ২৮ ডিসেম্বর ১৪ পৌষ বাংলা ১৫ রজব চট্টগ্রামের জালালাবাদ ওয়ার্ডে সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাযী পরিবারে হাশেমী বংশে এই মহান ব্যক্তিত্ব জন্ম। তিনি একাধারে ছিলেন সারা দেশের অসংখ্য আলেমদের শিক্ষক। ইসলামী জগতের প্রতিটি বিষয়ে পান্ডিত্ব ছিল আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীর। হাদিস শাস্ত্র, ফিকহা ও তসসিরে ছিলেন যুগ শ্রেষ্ঠ। তিনি ছিলেন সাইখুল মুহাদ্দেসীন। আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী ছিলেন শায়খুল হাদিস ওয়াল ফিকহ ওয়াত তাফসীর।
শৈশবে পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষার হাতে কড়ি। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন্ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন এবং দক্ষতার সাথে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল। শৈশব থেকে অত্যন্ত মেধাবী আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী উপমহাদেশের সর্বউচ্চ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ ঢাকা সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল ফাষ্ট ক্লাস ফাষ্ট। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে উর্দু ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করার পর আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী তখনকার সময়ে খ্যাতনামা দ্বীনি বিদ্যাপিঠ ওয়াজেদীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় হাদিসের দরস দান শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসা, শাহচান্দ আউলিয়া আলীয়া মাদ্রাসা, জামেয়া আজিজিয়া অদুদীয়া আলীয়া, হাটহাজারী মাদ্রাসার অধ্যাপনা করেন।
আল্লামা ইমাম হাশেমী জীবনব্যাপী সাধনা ও কাজের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে দ্বীন, সুন্নিয়ত চর্চা ও মানুষের কল্যাণ। ইমামে গাজী সৈয়দ আজিজুল হক শেরে বাংলার (রহ.) স্থলাভিষিক্ত সুন্নি জমাআতের ইমাম নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পরিপূর্ণ নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইমাম হাশেমী মুদ্দাজিল্লুহুল আলী সুন্নি উলামা ছাত্র জনতাকে সুন্নিয়তের পথে প্রতিষ্ঠিত রাখার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশ বিদেশী অসংখ্য মাহফিল, সভা, সেমিনার ও সিম্পুজিয়ামে প্রিয় নবীর সুন্নত প্রচারে বলিষ্ট ভ‚মিকা রাখেন। তিনি আমৃত্যু নবী প্রেমিক আশেকী রাসুল ছিলেন। িিতনি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও ইমামে আহলে সুন্নাত ও পীরে কামেল।
৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলনের সময় ছাত্র অবস্থায় আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী নিজেকে মার্তৃভাষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেন। তিনি ছিলেন মহান ভাষা সৈনিক।
আমার মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের অনেক আলেম নিজেকে দেশের িপক্ষে অবস্থান নিতে বা নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় ঠিক সেসময়েও আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখেন। তিনি সে সময়ে দেশের মানুষকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য কোরআন ও হাদিসের আলোকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বয়ান করতেন। এরি সাথে তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী ইসলাম ও সুন্নীয়তের সেবার জন্য নিজ বাড়ীতে আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া আলীয়া মাদ্রাসা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা, এতিমখানা হেফজখানা, মসজিদ ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন ও প্রতিষ্ঠাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
সুন্নিয়তের খেদমত ও মানবসেবার ক্ষেত্রে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি আল্লামা ইমাম হাশেমী মুদ্দাজিল্লুল আলী। ইসলামের মূলধারা সুন্নিয়তের প্রচারে অসামান্য অবদান রাখা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে বিরল ভূমিকা মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনরতা যুদ্ধে আল্লামা ইমাম হাশেমীর উল্লেখযোগ্য অবদানের পরও স্বীকৃতি হিসেবে ইমাম হাশেমীকে এযুগে পদক কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত করার না করায় দেশের সর্বস্তরের সুন্নী জনতার মাঝে আজন্ম ক্ষোভ।
আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী বার্ধক্যজনিত কারণে আল্লামা কাজী নুরুল ইসলাম হাশেমী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। আল্লামা হাশেমী ২মে ভোর ৫ টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
আল্লামা ইমাম হাশেমী জীবনব্যাপী সাধনা ও কাজের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে দ্বীন, সুন্নিয়ত চর্চা ও মানুষের কল্যাণ। ইমামে গাজী সৈয়দ আজিজুল হক শেরে বাংলার (রহ.) স্থলাভিষিক্ত সুন্নি জমাআতের ইমাম নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পরিপূর্ণ নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইমাম হাশেমী মুদ্দাজিল্লুহুল আলী সুন্নি উলামা ছাত্র জনতাকে সুন্নিয়তের পথে প্রতিষ্ঠিত রাখার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশ বিদেশী অসংখ্য মাহফিল, সভা, সেমিনার ও সিম্পুজিয়ামে প্রিয় নবীর সুন্নত প্রচারে বলিষ্ট ভ‚মিকা রাখেন। তিনি আমৃত্যু নবী প্রেমিক আশেকী রাসুল ছিলেন। িিতনি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও ইমামে আহলে সুন্নাত ও পীরে কামেল।
৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলনের সময় ছাত্র অবস্থায় আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী নিজেকে মার্তৃভাষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেন। তিনি ছিলেন মহান ভাষা সৈনিক।
আমার মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের অনেক আলেম নিজেকে দেশের িপক্ষে অবস্থান নিতে বা নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় ঠিক সেসময়েও আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখেন। তিনি সে সময়ে দেশের মানুষকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য কোরআন ও হাদিসের আলোকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বয়ান করতেন। এরি সাথে তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী ইসলাম ও সুন্নীয়তের সেবার জন্য নিজ বাড়ীতে আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া আলীয়া মাদ্রাসা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা, এতিমখানা হেফজখানা, মসজিদ ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন ও প্রতিষ্ঠাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
সুন্নিয়তের খেদমত ও মানবসেবার ক্ষেত্রে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি আল্লামা ইমাম হাশেমী মুদ্দাজিল্লুল আলী। ইসলামের মূলধারা সুন্নিয়তের প্রচারে অসামান্য অবদান রাখা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে বিরল ভূমিকা মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনরতা যুদ্ধে আল্লামা ইমাম হাশেমীর উল্লেখযোগ্য অবদানের পরও স্বীকৃতি হিসেবে ইমাম হাশেমীকে এযুগে পদক কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত করার না করায় দেশের সর্বস্তরের সুন্নী জনতার মাঝে আজন্ম ক্ষোভ।
আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী বার্ধক্যজনিত কারণে আল্লামা কাজী নুরুল ইসলাম হাশেমী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। আল্লামা হাশেমী ২মে ভোর ৫ টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তিনি ইন্তেকাল করেন।