
শিব্বির আহমেদ ওসমানঃ
নুরুন নাহার হীরা একজন সাহিত্য ও সমাজকর্মী। তিনি একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। সংগঠনটির নাম ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ)’। সংগঠনটি ২০২০সালের ১১ই এপ্রিল পথচলা শুরু করে। শুরু থেকেই এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান সমন্বয়ক-খুলনা বিভাগ এর দায়িত্ব পালন করছেন নুরুন নাহার হীরা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদের দায়িত্বটি উনাকে অর্পণ করার জন্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ ভায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশও প্রকাশ করেছেন। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) সংগঠন মূলত একটি সাহিত্য.সংস্কৃতি.ক্রীড়া ও গণমাধ্যমকর্মী ও অনুরাগীবৃন্দদের সংগঠন। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) সংগঠনটি সংগঠিত হয় এমন এক সময়, যে সময় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব করোনা নামক অদৃশ্য এক ভাইরাসে জর্জরিত। কোভিক-১৯ (করোনা ভাইরাস)-এ বাংলাদেশ যখন ভয়াবহ অবস্থায় অবস্থান করছে, ঠিক এমনই সময় ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ)’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ ভাই এর উদ্দ্যোগে আমাদের সংগঠন প্রথম দফায় সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, অসহায়, একশত পঞ্চাশটি পরিবারের মাঝে এক সপ্তাহের খাবার সামগ্রী প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, অসহায়, পঞ্চাশটি পরিবারের মাঝে এক সপ্তাহের খাবার সামগ্রী প্রদান করেন এবং তৃতীয় দফায় চল্লিশ জন এতিম পথশিশুকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদবস্ত্র সহ সেমাই-চিনি ক্রয়ের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ)সংগঠনটি সংগঠিত হওয়ার এক মাসের মধ্যেই আমরা কিছু সংখ্যক সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারাই মহান আল্লাহতায়ালার নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন নুরুন নাহার হীরা। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ)’র লক্ষ শুধু অনুদানই নয়, অনুদানের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্রতা বিমোচন, এতিম পথশিশুদের আবাসন সহ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাবা-মায়েদের জন্য আশ্রয়ন, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, বেকারত্ব দূরীকরন সহ বিভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে।নিয়েছে ‘তৃণমূলের উন্নয়ন ভিষন-২০৪০’ নামের উন্নয়নের ভিষন বাস্তবায়নের উদ্দ্যোগ, যা বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই কার্যাক্রম শুরু করেছি। আমি আবারো কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ ‘র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণের প্রতি এমন একটি মহতি কাজের উদ্দ্যোগ গ্রহন করার জন্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের ‘তৃণমূলের উন্নয়ন ভিষন-২০৪০’ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন এই সোনার বাংলাদেশের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সংগঠনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত, হত দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান করা। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) উতোমধ্যে বিভিন্ন মানুষের পাশে বিভিন্ন ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছ।‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ)’র মূল স্লোগান ‘মানুষ মানুষের জন্য-বিএমইউ তৃণমূলের উন্নয়নের জন্য’। অর্থাৎ মানুষ-মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র মানষদের অসহায়ত্ব দুর করা। আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ এর উক্তি ‘ অর্থ সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়’ এজন্য চায় স্বদিচ্ছা-মানষিকতা-স্বেচ্ছাশ্রম। যেমন উদাহারন স্বরূপ বলা যেতে পারেঃ কোন একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, রাস্তার মধ্যে কলার খোসা পড়ে থাকলে তা দেখা মাত্রই সেটি তুলে নিয়ে নিদ্রিষ্ট স্থানে ফেলে দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের মাধ্যমে ভালো কিছু উক্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ভালো কাজ করতে গেলে শুধু অর্থ দিয়েই করা যায় তা কিন্তু নয়, ভালো কাজ করার আগে প্রয়োজন নিজের মধ্যে ভালো কাজ করার মানষিকতা তৈরী করা অতঃপর যে কোন ভাবেই ভালো কাজ করা। একটি ভালো কাজ করা মানেই দান করা বা অনুদান প্রদান করা নয়। ভালো কাজ করা মানেই প্রাণীজগতের বিপদে পাশে দাঁড়ানো। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) সংগঠনটি আত্মতৃপ্তির একটি প্লাটফর্ম। আত্মতৃপ্তি প্রাপ্তির জন্যই আমি এই প্লাটফর্মের সদস্য। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাখলুকাত(মানব জাতি) অর্থাৎ মানুষ, আর আমরা মানুষ বলেই মানুষের যে কোন সমস্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য এবং নৈতিক দায়িত্ব। তাই আমি আবারো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবন ভায়ের প্রতি যিনি আমাদের এমন একটি আত্মতৃপ্তির প্লাটফর্ম সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যে সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি এবং নুরুন নাহার হীরা গর্বিত ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে। ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) একটি মানবতার সংগঠন। এই সংগঠনটি মানুষের সার্বিক সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে বিশ্বাস করে। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এবং আবেদন জানাচ্ছি সকলেই যেন অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানষিকতা তৈরী করতে পারেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। দেশব্যপী ‘বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া ইউনিটি (বিএমইউ) সংগঠনের কমিটি গঠনের লক্ষে সদস্য অর্ন্তভূক্তি কার্যক্রম চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের সংগঠনের সদস্য অর্ন্তভূক্তি হয়ে আত্মতৃপ্তির প্লাটফর্মে অংশ নিতে পারেন। নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন দেশ সেবার এক অনন্য সৈনিক হিসেবে।