
জামিল বিশ্বাসঃ
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরে নদী ভাঙ্গনের কবলে মানিকগঞ্জ জেলার তিন উপজেলা।পদ্মানদী ও যুমনা নদীর অস্বাভাবিক ভাঙ্গনে দিশেহারা হাজার হাজার অসহায় মানুষ।তাদের আর্তচিৎকারে ভারি হচ্ছে বাতাস নেই স্থায়ী সমাধান।সাটুরিয়া, শিবালয় ও হরিরামপুর তিন উপজেলায় মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হরিরামপুর উপজেলা।এ উপজেলায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ উপজেণা হারিয়েছে শত শত বসত ভিটা,স্কুল, মসজিদ ও ফসলী জমি।অসহায় ও কর্মসংস্থান হয়ে পড়ছে হাজারো মানুষ। এছাড়া অবৈধ ভাবে বালু উত্তলোনে দিন দিন তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। এদের দেখর মত কেহ নাই।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কর্মে মেলিনি প্রমান। এছাড়া ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁছ বারইল, বেংরই ও দক্ষিণ চ্যাইলা, সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লী, ছনকা বরাইদ, বরাইদ, দৌলতপুর উপজেলার আমতলী, বাঁচামারা, চরকাটারি, শিবালয় উপজেলার নেহালপুর, আরুয়া-কুষ্টিয়া, আরিচা ঘাট, হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও ধুলসুরা ও ঘিওর উপজেলার শ্রীদামনগর বাজার,বালিয়াখোড়া ও কুস্তা এলাকা। নদীগর্ভে বিলীন হওয়া অসহায় মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন তীব্র হলে পানি উন্নায়ন বোর্ড অস্থায়ী কিছু জিও ব্যাগ ফেলেন কিন্তুু স্থানীয় কোন সমাধান নাই। ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ১৩নং গোপীনাথপুর ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুলশুড়া ইউনিয়নের কমলাপুর মাদ্রাসা মসজিদ ও মন্দির।
‘পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও’ নামক ফেসবুক গ্রুপের অন্যতম সমন্বয়ক মুন্সী সোহাগ জানান, ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে এবং অবৈধ ড্রেজিং বন্ধের দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক, পানিসম্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ভাঙন পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাঈনদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, হরিরামপুরে ধূলশুড়া ইউনিয়নে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে দেড় কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ভাঙন ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ পরিদর্শনকালে জানান, ধুলশুড়া ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ১৮৯০০ বস্তা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। নদী ভাঙন থেকে জেলাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।