
হোসেন বাবলাঃ
চট্টগ্রাম মহানগরের অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ন এলাকা ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড। এর এক দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বদিকে কর্ণফুলি নদী। রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য নালা-উপখাল,নর্দমা সহ ডোবা। এক সময় খাল দিয়ে সাগর ও নদীর জোয়ারের পানি আসলে সেই খালি নালা-নর্দমা,ডোবাতে প্রবল বর্ষনের পানি গুলো দ্রুত নেমে গিয়ে এই ঘনবসতি পূর্ন এলাকা মোটামুটি ভালই ছিল।
বহু বছর পূর্বে নয়াহাট খাল দিয়ে কর্ণফুলি নদী পথে কাঁচা বাজারের মালামাল বন্দরটিলায় আসতে বলে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল করিম জানাই। কিন্তু কালক্রমে সেই দৃশ্য যেন যাদুঘরের বাক্স বন্দি ছবি হয়েছে। কেউ কি আর সেই খালের খবর রেখেছে ? না রাখেনি, সময় পাল্টে পালাক্রমে দুই পাড় দখল করে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অবৈধ বসতী আর বহুতল ভবন। এখন কি আর সেই দিন আছে,যুগের সাথে তার মিলিয়ে পুরো এলাকার পানি যাওয়ার খালটি এখন আধুনিক ড্রেনের চেয়েও খারাপ অবস্থায়। বাসাবাড়ীর ময়লা-আবর্জনা এবং পুরো নয়াহাট(নি্উ মুরিং)এলাকার পয়নিস্কাষন সহ গৃহস্থলী কাজের ব্যবহৃত পানি খাল হয়ে-নদীতে পড়ে। সেই পানি ঠিক মতো যাই না ময়লার ভাগাড় জমে। সেই দুঃখ নিয়ে এই পর্যন্ত ৫জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দফায় দফায় আসলে ও গেলেও ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড নয়াহাট বাসিন্দার দুঃখ তো গোছলো না! অতি সম্প্রতি”জোয়ার আর বৃষ্টির কান্নাতে দক্ষিণ হালিশহর (নয়াহাট)বাসী পানি বন্দি হয়ে দিন যাপন করছেন বলে আঃমাবুদ সওঃবাড়ীর বাসিন্দা মোঃশাহেদ জানালেন তার দুইদিন দুই রাত্রে কষ্টের কথা”। তিনি আরো জানাই, নিচ তলার পানি সেচন করতে করতে সকালে কাজে যোগদান করতে পারে নি । তেমনি বড় মিয়ার বাড়ী রোডের রুবেল ও তার দুঃখের ঘটনা এফবি তে শেয়ার করে জনপ্রতিনিধিদের মনোযোগ আকর্ষন করতে চেয়েছেন।
এদিকে গত ২দিনের ৯৮.০২মিলিঃ গতিতে বৃষ্টি পরিমান ছিল বলে পতেঙ্গা আবহাওয়া সুত্রে জানা গেছে। তারা আরো জানাই , আগামী ২/১দিন আরো প্রবল বেগে বৃষ্টি সহ ঝড় বাতাস হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানান।এসময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৫ফুট পানি সাগরের উপরে উঠতে পারে। এই কারণে সমূদ্র বন্দর সমূহ কে ৩নম্বর নৌ হুশিয়ারী সর্তক সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌকা, মাছ ধরার টলার বোর্ড কে উপকূলে থাকতে বলা হয়েছে।এছাড়া গত২/৩দিনের বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের কারণে নগরীর নিম্মাঞ্চল অনেকটাই পানি নিচে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের ৩৭,৩৮,৩৯,৪০,৪১ নং এবং হালিশহরের নিচে ২৬,১১,১২,১৩,০৯ ও১০নং ওয়ার্ডের নিচু এলাকা পানিতে ডুবে রয়েছে।
তাছাড়া নগরীর বানিজ্যিক এলাকা খ্যাত(৩৬নং) ওয়ার্ড আগ্রাবাদ মা ওশিশু হাসপাতাল এলাকাটি হাটু পানিতে ৪/৫দিন যাবত প্লাবিত হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি মোরশেদ হোসেন প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই যেন শহরের মাঝে খাল-নদীর খেলা। এর স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি জোয়ারের পানি যেন লোকালয়ে না আসার জন্য দুই পাড়ে শক্ত বাঁধ সহ সংযোগ খাল-ড্রেন,নর্দমা গুলো অবৈধ দখলদার মুক্ত করে নয়াহাটবাসিন্দাদের সুষ্টভাবে জন-জীবনে চলতে সাহায্য করার আকৃতি উচ্চ প্রশাসনের প্রতি।