
মো: নাজমুল সাঈদ সোহেলঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্রয়কৃত জমিতে নির্মাণাধীন দোকানঘর ও জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণাধীন দোকানঘরে ঢুকতে বাঁধা ও হুমকি দেওয়ায় এনিয়ে ভুক্তভোগী দখল চেষ্টার বিষয়ে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
২০১৭ সালে ক্রয়কৃত সেই জমি নিজের ভোগদখল ও দলিলে জমির বিবরণ সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সম্প্রতি নির্মাণকৃত দোকানঘরে ঢুকতে গেলে দখলবাচ চক্রের বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ করেছেন উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে আনচার উদ্দিন।
তিনি জানান, পেকুয়া উপজেলার মগনামা সিকদার পাড়া এলাকার মরহুম মোজারুল হকের স্ত্রী খোরশেদা বেগমের পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত বিএস ৩৬৯ নম্বর খতিয়ানের ৩৫৬৮ দাগের জমির পরিমাণ ৩ একর ১০.৫০শতক। তাহার মরণে জমির ওয়ারিশ হন তার ৪ ছেলে ৫ মেয়ে। তৎমধ্যে তার অংশপ্রাপ্ত জমি থেকে ১ছেলে জমি পায় ৪৭.৮০শতক।
জানাগেছে, বেতুয়া মৌজার বিএস ৩৬৯ নম্বর খতিয়ানের অংশে প্রাপ্ত স্থিত জমি সাতচল্লিশ দশমিক আশি শতক জায়গা থেকে তিন শতক জমি খোরশেদা বেগমের ছেলে নাজমুল হক চৌধুরী তার প্রাপ্ত জমি থেকে কোনাখালী বটতলী স্টেশন এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে আনচার উদ্দিনকে গত ২৬জুলাই ২০১৭ইং তারিখে রেজিষ্ট্রিমূলে সাব কবলা হিসেবে হস্তান্তর তথা বিক্রি করেন। যাহার দলিল নং-২৭৬৬। পরে
আনচার উদ্দিন জমি ক্রয়ের পর উপজেলা সহকারী কমিশনার কার্যালয় (ভূমি) অফিসে বেতুয়া মৌজার বিএস ৩৬৯ খতিয়ানের ৩৫৬৮ দাগের নামজারী জমাভাগ মামলা নং ৫৩৮০ (১)/২০১৬-১৭এর আদেশ মোতাবেক ৩ (তিন) শতক জমি নিয়ে ১৩৭৪ নম্বর খতিয়ান সৃজন করেন। ক্রয়কৃত জমির দলিলে রাস্তার ধারে ৩ (তিন) শতক জমি চিহ্নিত ভাবে ভোগদখল করার সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগী আনচার উদ্দিন অভিযোগে জানান,
উপজেলার বেতুয়া মৌজার বিএস ৩৬৯ খতিয়ানের ৩৫৬৮দাগের সাব-কবলামূলে কোনাখালী বটতলী স্টেশন এলাকায় রাস্তার ধারে ৩শতক (নয়কড়া) জমি ২০১৭ সালের ২৬জুলাই ক্রয় করি। পরে ওই জমি নিয়ে সৃজিত খতিয়ানও তৈরি করা হয়েছে। ক্রয়কৃত জায়গায় রাস্তা সংলগ্ন জমিতে মাটি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নির্মাণাধীন দোকানঘরে ঢুকতে গেলে সন্ত্রাসী কায়দায় ভয়ভীতি দেখিয়ে বাঁধা ও হুমকি দেন স্থানীয় বটতলী এলাকার মৌলভী ফরিদ আহমদ। তিনি দোকানে গেলেই সে প্রতিনিয়ত বাঁধা দিচ্ছেন। এমনকি আমার ক্রয়কৃত জমিটি নিজের দাবি করে মৌলভী ফরিদ জবর দখলের চেষ্টায় মরিয়া উঠে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেও তার কোন সুরাহা মেলেনি। এনিয়ে চকরিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি বর্তমানে থানার উপপরিদর্শক (এস আই) অপু বড়ুয়ার কাছে বিচারাধীন রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) অপু বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি জবর দখলের চেষ্টা সংক্রান্ত বিষয়ে আনচার উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে বিরোধীয় বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তি করতে বটতলী স্টেশনের বাজার কমিটির সম্পাদককে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সুরাহার জন্য বলা হয়েছে। তবে, তারা বিষয়টির ব্যাপারে এখনো কেউ আমাকে জানায়নি।
এমতাবস্থায় ভূক্তভোগী বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।