
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির্জা সেকেন্দার হোসেন অস্ত্র সহ তার নেতৃত্বে অতর্কিত হামলায় ইউনুস মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় হোসানাবাদ ইউনিয়নের খিলমোগল গ্রামের খামারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার মো. ইমরান হোসেন নিহত ইউনুস মিয়ার ভাতিজা ইমরান ঘটনার বিবরণে বলেন, ‘আজ সকালে আমার চাচা ইউনুস মিয়ার জায়গা দখলের জন্য প্রতিবেশী মহরম মিয়া, হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে এহসানুল হক এবং আজিজুর রহমান ও তার ছেলে মো. মামুন, মনির আহামেদ ও তার ছেলে সাইমুন জায়গা দখল করে গাছ কাটতে থাকলে আমার চাচা ইউনুস মিয়া বাধা দেন। একপর্যায়ে আমার চাচার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হলে তারা আমার চাচা ইউনুস মিয়া, তার ছেলে এবং আমাকে বাটাম ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর হোসানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দার হাতে ওয়ান শ্যুটারগান নিয়ে সবাই এসে প্রথমে চেয়ারম্যান নিজে আমার চাচা ইউনুস মিয়াকে মারতে শুরু করেন এবং অন্যদেরকেও মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় দফা হামলার এক পর্যায়ে আমার চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান। আমরা সকলেই আহত হই। আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী কথা বলে জানতে পারে জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ইউনুস মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশীদের সকালে বাক-বিতন্ডা হয়। সেই সময় তার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরবর্তীতে হোসানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দারের নেতৃত্বে ইউনুস মিয়া, তার ছেলে ও ভাতিজাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের ঘটনায় ইউনুস মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন। বর্তমানে নিহত ইউনুস মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানা যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে এখন পর্যন্ত মামলা করতে কেউ থানায় আসেননি। সন্ত্রাসী মির্জা সেকান্দর চেয়ারম্যান পালিয়ে যান। এদিকে রাঙ্গুনীয়া থানা পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এহসানুল হক, মো. মালেক, মমতাজ বেগম ও সায়রা খাতুন নামের চারজনকে আটক করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী রাঙ্গুনিয়া থানা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় রাঙ্গুনিয়া থানা ইনচার্জ কে স্বাগত জানাই। উক্ত ঘটনায় হামলাকারী অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে নিহত ইউনুস মিয়া হত্যার বিচার দাবী করেন।