এপিক প্রোপার্টিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে বসতভিটা ভাঙচুর ও অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বায়েজিদ প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকায় নতুন ওয়াসার পাশে এপিক প্রোপার্টিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বসতভিটা ভাংচুর ও কোটি টাকার সম্পত্তি দখল এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্থ কামরুল ইসলাম গং সহ অন্যরা এমনটাই দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন প্রশানিক দপ্তরে।

এবং এপিকের কর্তৃক দায়ের কৃত মামলায় ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করে কামরুল ইসলামকে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে বলে জানান।এবং ঐরাতেই ব্যাপক ভাংচুর ও বসতভিটা উচ্ছেদ করে দখলের নেওয়ার চেষ্টাসহ সবরকমের ব্যাপক আর্থিক,শারীরিক,মানসিক,
ক্ষক্তিগ্রস্থ করে জীবনঝুকিপূরর্ণ করে আসছেন নিত্যনতুন যন্ত্রণাদায়ক কলাকৌশলে মাধ্যমে।উদ্দেশ্য একটাই আমাদের বসতভিটা ছাড়া করা।

ভুক্তভোগীরা জানায়,আমরা নদী ভাঙ্গা বাস্তহারা,অসহায় মানুষ হওয়া সরকার আমাদের দখলীয় ভূমিতে থাকার অনুমতি দিয়েছে।এছাড়া নিয়ম অনুসারে ইজারা নিয়ে এই জায়গায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসিতেছি।এবং সরকারি কর খাজনা আদায়ের পাশাপাশি দখলেও আছি। এছাড়াও ইজারার যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের আছে।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এপিক প্রপারটিজ লিমিটেড অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক উচ্ছেদের পায়তারা চালিয়ে আসতেছে বিভিন্ন স্বরযন্ত্রীয় কায়দায়। যার দরুন আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই,সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি।

প্রতিকার চেয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ আপত্তি জনিয়ে আসছি।কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল গভীর রাত ২টায় ভুমি দখল ও যবর দখল করে ভাংচুর,লুটপাট করে এপিক প্রোপার্টিজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই। তাদের উপর্যপরি লোমহর্ষক আক্রমণে আমাদের শরীরে আঘাত,যখমসহ পরিবারের আত্মসম্ভ্রমে আঘাত করে।

কামরুল ইসলাম গং ক্ষতিগ্রস্তরা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আরো বলেন,এপিক প্রপারটিজ লিমিটেডের উদ্দেশ্য হল আমাদের বসতভিটা থেকে আামাদের উচ্ছেদ করা। দীর্ঘদিন ধরে আমাদেরকে বসতভিটা ছাড়া করার জন্য সব রকমের স্বরযন্ত্র পরিকল্পনা করে আসছেন আমাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় হামলা করে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় করে হয়রানি করছে বলেও জানায় ভুক্তভোগীরা।
এপিক এর প্রজেক্ট সুপারভাইজার মোহাম্মদ শফিকুল আলাম আমাদের বিরুদ্ধে ২২ এপ্রিল মিথ্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪৪/১৭৩)।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেডিমিক্স কারখানা,কোম্পানির ওয়াকসপ,এপিক এগ্রো নামীয় খামার রয়েছে। এর পাশে কামরুল ইসলাম গংদের বসতভিটার ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর অবস্থায় রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে এপিক প্রপারটিজ লিমিটেড এর উক্ত প্রজেক্টের সুপার ভাইজার মোহাম্মদ শফিকুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানান।

এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও
প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি এড়িয়ে যান।এ বিষয় কথা বলতে অনুমতি নিতে হবে বলে জানায়।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (বায়োজিদ জুন)মোঃ শাহ আলম গত ২৬ এপ্রিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও কামাল ইসলাম গং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও অন্যান্যদের বর্ণনা শুনেন।তিনি বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থনার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার বলেন বিষয়টি তদন্ত অফিসার তদন্ত করছে।এবং সত্যতা নিশ্চিতে সবরকম আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড
কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি প্রসাশনিক ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত