
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) ঃ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ব্যবসায়ের প্রানকেন্দ্র নতুনবাজার। মাছ ধরা নিষিদ্ধ মৌসুম ছাড়া এখানে মাছের বাজারে কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সকাল হতে আসে, ক্রেতা বিক্রেতার সরগরম মুখরিত থাকে সেই রাত পর্যন্ত এই মাছের বাজার। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও রাজধানী ঢাকা সহ চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় পাইকারি বিক্রেতারে মাছ সরবরাহ করে থাকে। ১ কেজি হতে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের মাছ পাওয়া যায় এই বাজারে। তবে ক্রেতারা সবচেয়ে বড় সংকটে ভূগে মাছ কিনার পর বড় সাইজের মাছ গুলো কেটে ছোট ছোট পিস করতে। তবে এই কাজটা অনায়াসে চোখের পলকে করে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করছেন কাপ্তাইয়ের নতুনবাজার মাছ বাজারের মোঃ আনোয়ার।
কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে আনোয়ারের। কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনির মোঃ মকবুল হোসেন এর ছেলে আনোয়ার। বিগত ১০ বছর ধরে কাপ্তাইয়ের নতুনবাজার মাছ বাজারে মাছ কেটে তিনি সংসার লালন পালন করে আসছেন। আনোয়ার জানান, এই কাজ হতে তাঁর দৈনিক গড়ে ৫শ হতে ৬ শ টাকা আয় হয়। রুই, কাতাল, মৃগেল, চিতল, কোরাল, আইল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ তিনি প্রতিদিন ক্রেতার চাহিদা মতো ছোট ছোট করে পিস করে দেন। জানতে চাইলে তিনি জানান, সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের মাছ তিনি কেটেছেন, এতে তাঁর ১০-১৫ মিনিট সময় লেগেছে। তিনি তাঁর ওস্তাদ কামাল এর কাছ থেকে এই কাজ রপ্ত করেছেন, তবে মাছ কাটতে গিয়ে যদি অন্যমনস্ক থাকে তাহলে নির্ঘাত বড় বড় দা’ গুলো হাতে এসে পড়বে। তবে তিনি কখনো বিপদের সম্মুখীন হন নাই বলে জানান।
কাপ্তাই নতুনবাজার বনিক কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক জানান, আনোয়ার ছাড়াও আরোও ৪-৫ জন এই মাছ কেটে সংসার চালাচ্ছেন, তাঁরা ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পিস করেন।
কাপ্তাই নতুনবাজারের ব্যবসায়ী নেতা প্রিয়তোষ ধর পিন্টু জানান, তাঁর কাছে এই কাজটি একটি শিল্প মনে হয়। অনায়াসে অনেক বড় বড় সাইজের মাছ তারাঁ চোখের পলকের মধ্যে কেটে ক্রেতাদের বুজিয়ে দিচ্ছেন।