
মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম-রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া শিলক ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড পাখিয়ার টিলা নিরঞ্জন প্রফেসর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ২টি বসতঘর।
বুধবার(১৬জুন) সকাল ১১টায় রূপন দাসের ঘরে থাকা ছাদের ধর্মীয় উপাসনালয় আসন ঘরের মোমবাতি থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা যায়। রূপন দাসের ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পাশের ঘরে লাগলে মুহুর্তে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর এদিকে রূপন দাসের পাশের ঘরটি ছিল শিলক ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি সঞ্জিত দাসের। আগুন দেখে স্থানীয় ছুটে আসলেও আগুন তীব্রতায় রক্ষ করতে পারেনি ঘরের কোন জিনিসপত্র। পুড়ে গেছে দু-ঘরের দামী দামী আসবাবপত্র সহ নগত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার । আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন রূপন দাসের স্ত্রী সীমু দাস।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কামরুজ্জামান সুমন বলেন, আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা জানতে পারি রূপন দাসের মেয়ে অগ্নিকাণ্ডের আগে তাদের ঘরের ছাদে মোমবাতি জ্বালিয়ে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পূজা দিয়ে কলেজে যায় এর পর এঘটনা ঘটে । এখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছি। তবে এঅগ্নিকাণ্ডে তাঁদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সঞ্জিত দাস বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ইছাখালী যায় সেখানে শুনতে পায় আমার ঘরে আগুন লেগেছে আমি এসে দেখি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমি মাইক ব্যবসা করি আর আমরা ঘরে মাইকের প্রায় ৫লক্ষ টাকার জিনিস সহ সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কেনা দামী দামী জিনিস পত্র পুড়ে এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এই বৃষ্টির দিনে খোলা আকাশে নিচে থাকা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই। আমাদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন আমাদের ঘর গুলো ঠিক করার জন্য সহযোগিতা করে। আমাদের দুই পরিবারের প্রায় ১৬লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।