ক্রাইম রিপোর্টার (চট্টগ্রাম):
অন্যের নিউজ পোর্টাল ফেক আইডি করে দেশের বিশিষ্ট জন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কুরচিপূর্ণ মন্তব্য ও ধর্ম বিদ্বেশী কথাবার্তা এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর লোকদের নামে বেনামে প্রসাশনের কাছে ভূঁয়া ও ভিত্তহীন দরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক কতিথ ভূয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। জানা যায় এ ব্যাপারে বেপরোয়া কতিথ সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শাহরিয়ার রিপন নামের এক ব্যাক্তি।
গত রবিবার ৯ই মে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম মামলা নং ০৯/২০২১ইং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ইং এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৯ ধারায় এই মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার পূর্বে তিনি বিগত ২০/০৪/২০২১ইং তারিখে জীবন কৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে উক্ত বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন,বন্দর থানায়, ডায়েরী নং-৯০৮। মামলার বিবরনে জানা যায় বিগত ১৫/১১/২০২০ইং ও ১১/১১/২০২০ইং তারিখে অনলাইন পোর্টাল চ্যানেল ৬৯ এ মূর্তি পূজা জাতির জন্য কলঙ্গ। বঙ্গবন্ধুর মোড়ল ভেঙ্গে ফেলা উচিত ও সাবেক সিটি কর্পোরেশন প্রসাশক সূজন আসলে তুমি কার জামাত না বিএনপির সর্বদায় মুখে থাকে গালি গালাজ শিরোনাম সহ হিন্দু মুসলিম বিদ্বেষী কথাবার্তা ৬৯ নিউজ পোর্টাল আইডিতে মোঃ শাহরিয়ার রিপন এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সংগ্রহ করে জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ অত্যান্ত সুকৌশলে এডিট করে তাহা পোষ্ট করে, যাতে শাহরিয়ার রিপন এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয় । এ ব্যাপারে মামলার বাদী শাহরিয়ার রিপন বলেন কথিত নামধারী সাংবাদিক পরিচয় দানকারী জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ কি উদ্দেশ্যে কোন আক্রশে আমার ক্রয়কৃত ডোমেইন চ্যানেল ৬৯ টিভি ডট নেট ডট বিডি, এর নামে হুবহু মিল রেখে আমার লোগো ও ছবি ও ঠিকানা ব্যবহার করে। উক্ত বিষয়গুলি আমার চ্যানেল ৬৯ নামে আরেকটি আইডি খুলে পোষ্ট করে আসছে, আমার জান মাল, আইনি হয়রানি সহ ক্ষতি সাধন করার হীন উদ্দেশ্যে। সাইবার অনুসন্ধানে জানাযায়, জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ,চট্টগ্রাম কম্পাক্ট বায়েজীদ স্কয়ার এ অবস্থিত ঝবৎাবৎহববফ.পড়স আইটি কোম্পানি থেকে ডোমেইন নিয়ে ( এই কোম্পানির চট্টগ্রাম এর দ্বায়িত্বরত ফারুকও এই মামলার সাক্ষি ), ময়মনসিংহের রবিউল বাশার সাদ্দাম, কে দিয়ে ওয়েবসাইট এর কাজ সম্পন্ন করে,, যিনি বর্তমানে পায়রা বন্দরে কর্মরত এবং এই মামলার সাক্ষী,
তথ্য নিয়ে যানাযায়, জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ এমন একজন দূধর্ষ উগ্রপন্থি ব্যক্তি যা তাহার পোষ্টগুলি বিবেচনা করলে তার হীন চরিত্রের বহিপ্রকাশ হয়। স্বরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ এলাকার সাধারন মানুষের কাছে কখনো ডিটেক্টিব ব্রাঞ্চ, কখনো র্যাব ও পুলিশের সোর্স আবার কখনো পত্রিকার সম্পাদক বলে দাবি করেন নিজেকে। অসাধ্যকে সাধন করতে পারে এ জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ এই বুলি বলে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এলাকায় আরো জনশ্র“তি রয়েছে বেটা মেট্রিক পাশ করছে কিনা সন্দেহ, সে আবার পত্রিকার সম্পাদক তদন্ত করা হোক সে কোন যোগ্যতায় সম্পাদক হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যবসায়ী জানায়, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে তার সোর্স বহিনী ইয়াবা, অস্ত্র ও ধর্ষন মামলার আসামীদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পরেন পতিতালয়, জুয়ারঘর, তেলের দোকান ও নানান ধরনের রেষ্টুরেন্টে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে।
তার কাছ থেকে রেহাই পায়না সাধারণ ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক ও বিভিন্ন অফিসিয়াল কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ সহ হকার পর্যন্ত। চাঁদা দিলে ভাল, না দিলে শুর“ হয় তাহার বিরুদ্ধে নানা ষরযন্ত্র। হুমকি ধামকি দেয় র্যাব পুলিশ ডিবি দিয়ে অভিযান চালাবে, ধরে নিয়ে যাবে, ইয়াবা দিয়ে ফাসিয়ে মামলা দিবে। সমাজের অনেক গন্যমান্য ব্যাক্তি তার কর্মকান্ডে ও চাঁদাবাজির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার এই অবৈধ কর্মকান্ডে কেহ ব্যাঘাত ঘটালে তার বির“দ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা এনএসআই, ডিবি, সিটিএসবি, পুলিশ কমিশনার সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় পর্যন্ত বেনামে নিজের গোপন আইডির হোয়ার্টস এ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ও জিমেইল থেকে দরখাস্ত দিয়ে অযথা হয়রানি এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে বিভ্রান্তের মধ্যে ফেলে দেয়। তার কাছ থেকে রেহাই পায়না পুলিশ, ডাক্তার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারন জনগন। তাই সচেতন এলাকাবাসির দাবি বন্দর, পতেঙ্গা, হালিশহর, ইপিজেড ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সংস্থার কাছে দেওয়া বেনামী অভিযোগ গুলির অভিযোগ কারীকে শনাক্ত সহ যত রকমের আইডি হ্যাক করা হয়েছে তাহা সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে তদন্ত করা হোক এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙ্গা ফেলা, হিন্দু মুসলিম বিবাদ সৃষ্টি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসক এর বির“দ্ধে অপমানজনক মন্তব্য পোষ্টকারী এবং শাহরিয়ার রিপনের চ্যানেল ৬৯ পোর্টাল হ্যাককারী বিবাদী জীবন কৃষ্ণকে সাইবার ক্রাইম আদালতের আইন অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সাইবার ক্রাইমের (এডিসি ফরেসনিকে) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রকাশ থাকে যে গত ০৯/০৫/২০২১ইং তারিখ বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুানাল, চট্টগ্রাম।
সূত্রঃ সাইবার মামলা নং ০৯/২০২১ইংরেজী (চট্টগ্রাম) তারিখঃ ০৯/০৫/২০২১ইং। মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জ, ইপিজেড থানা, চট্রগ্রাম বরাবরে প্রেরন করা হয়েছে বলে মামলার বিজ্ঞ আইন জিবি জানিয়েছেন।