মহানগর প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম খুলশী থানাধীন হাবিব লাইনে কথিত ভিআইপি পতিতালয় আলম গেস্ট হাউজের পরিচালক, মাদক ব্যাবসায়ী আলমকে পটিয়া থেকে আটক করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দার(উত্তর)পুলিশ।
জানাযায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও নারী পাচার সহ বিভিন্ন আইনে তার প্রায় ১০টি মামলা চলমান রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন।বারবার অভিযান পরিচালনা করেও বন্ধ করতে পারেনি আলমের সেই অবৈধ মাদক ও দেহ ব্যবসা । গত ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে উক্ত গেস্ট হাউজের এক কর্মীকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে খুলশীথানা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই গেস্ট হাউজের ভেতরে থাকতো পতিতা নারী, চলতো ইয়াবা ব্যবসা, ইয়াবা সেবন, মাদক বিক্রয় ও দেহ ব্যবসা বিভিন্ন স্থানে নারী পাচার। ভারতীয় হাই কমিশনের ভিসা জমাদান কেন্দ্র থেকে মাত্র ১০০ গজের ব্যবধানে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা শুনে খোদ সিএমপির অনেক পুলিশ কর্মকর্তারাও বিস্মিত হয়েছেন।
বিশেষ নিরাপত্তার জন্য প্রথমে লোহার দরজা তারপর কলাপসিবল গেট দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা না যাওয়ার জন্য অন্ধকার করে রাখা হয়েছে নিচতলা। দুর থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি হচ্ছে? গেটটি সবসময় তালা দেওয়া থাকে। চাবি হাতে আশপাশে দায়িত্বে থাকে দেহ ব্যবসায়ীর দালাল। গেট পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ভিন্ন এক পরিবেশ। নিচতলায় গেইটে যতটা নিরবতা ভেতরে উপরে র রুমে জমজমাট মাদক ও দেহ দানকারী এবং ভোগকারী সরগম।
জানা যায়, খুলশীর হাবিব লেনে অবস্থিত ওই গেস্ট হাউজ ভবনটির মালিক জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগম আলমকে ভাড়া দেয় যার মেয়াদ ২০৩১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট তাহমিলুর রহমান এক বিশেষ অভিযান চালায় ২০১৭সালের ১৮জানুয়ারি দেহ ব্যবসার সাথে নিয়োজিত ১১ তরুণী, ১৫ খদ্দেরকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ১ লাখ ৯শ ৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।সে সময় গেস্ট হাউজের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সিএমপির সাবেক ওসি, মইনুল ইসলাম ভূইয়াকে বরখাস্ত করা হয় সরেজমিনে জানা যায়। চট্টগ্রাম মহানগর
পুলিশের বিশেষ নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে খুলশীর ওই স্পটে দিনরাত চলতো ইয়াবা ব্যবসা, নিরাপদ ইয়াবা সেবন, মাদক ও দেহ ব্যবসা, ম্যাসাজ সেন্টারের নামের নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড। পরপর অভিযানেও তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকলেও পূনরায় চালু করতো আলম। কয়েক বার গ্রেপ্তার হলেও অপরাধীদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তদবির করার অভিযোগও আছে এই চক্রের বিরুদ্ধে।আদালতে প্রেরন হলে আইনের ফাঁকে বেরিয়ে এসে আবারো এই আদিম খেলার ব্যবসা চালিয়ে যেতো। খুলশী এলাকায় ফারুক ও আলমের বড় দুটি গেস্ট হাউজ দীর্ঘদিন মাদক ও দেহ ব্যবসা চলে ছোট বড় সবার জানা থাকলে ও জানা যায় আরো কয়েকটি স্পষ্ট আছে মক্ষী রানী দিয়ে পরিচালিত হয় তাদেরকেও নজরদারি তে এনে ব্যবস্হা নেওয়ার দাবী এলাকাবাসীর।