
আবদুল হক (জেলাপ্রতিনিধি) মানিকগঞ্জঃ
জেলার হরিরামপুর থানাধীন সরফদিনগর গ্রামের জনৈক মোঃ ইসলাম সরদার এর স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) কে আসামী মোঃ রফিক মিয়া (৪২), পিতা-মোঃ শফিকুল, সাং-সরফদিনগর, থানা-হরিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ পূর্ব ক্ষোভের বসবর্তি হইয়া পরিকল্পিত ভাবে গত ইং ০৪/০৭/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকায় হরিরামপুর থানাধীন বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর সাকিনস্থ সরফদিনগর চকে আসামী মোঃ রফিক মিয়া এর মরিচ ক্ষেতের পূর্ব পাশের আইলের উপর একা পাইয়া বাঁশের লাঠি দ্বারা মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিম নাজমা বেগম এর ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখিতে পাইয়া আসামী মোঃ রফিক মিয়া দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিম এর ছেলে ও স্বামী সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে যাইয়া ভিকটিম নাজমা বেগম এর মাথা ও কান দিয়ে রক্ত পড়া সহ গুরুতর অবস্থা দেখিতে পাইয়া দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভিকটিম নাজমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই তারিখ অথাৎ ইং ০৪/০৭/২০২১ তারিখ মৃত বরণ করেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতা নাজমা বেগম এর ছেলে মোঃ জনি মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ ইসলাম সরদার, মাতা-নাজমা বেগম, সাং-সরফদিনগর, ইউপি-বাল্লা, থানা-হরিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ, হরিরামপুর থানায় আসিয়া উক্ত হত্যার ঘটনা সম্পর্কে এজাহার দায়ের করেন। উক্ত এজাহারে প্রেক্ষিতে হরিরামপুর থানায় মামলা নং-০১, তাং-০৪/০৭/২০২১ খ্রিঃ ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়। হরিরামপুর থানা পুলিশ সংবাদ প্রাপ্তির ০৩ ঘন্টার মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব রিফাত রহমান শামীম পিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাঃ হাফিজুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ রেজাউল হক, সিংগাইর সার্কেল মানিকগঞ্জ মহোদ্বয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সৈয়দ মিজানুর ইসলাম সঙ্গীয় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ আরিফ উল্লাহ, এসআই (নিঃ) মোঃ জালাল হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ রোস্তম আলী, এএসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা, সর্ব হরিরামপুর থানা, মানিকগঞ্জ এর সহযোগীতায় মৃতা নাজমা বেগম এর হত্যাকারী আসামী মোঃ রফিক মিয়া (৪২) কে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন ফেচুয়াধারা বাজার হইতে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধান মোতাবেক দোষ স্বীকারুক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। সদর হাসপাতাল মানিকগঞ্জ হইতে মৃতা নাজমা বেগমের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। হরিরামপুর থানা পুলিশ অত্র মামলা রুজু হওয়ার পর মামলাটির তদন্তের সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করিয়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীর অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের ভিতর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হইছে।