মোঃ কামাল হোসেনঃ
চট্টগ্রামঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে। এতে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখানেও ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে হতদরিদ্র দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, বিধবা নারী, হিজড়া সহ নিম্ন আয়ের বিপুল দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অপর্যাপ্ত হলেও খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে বর্তমান সরকার।
টিসিবির মাধ্যমেও সরকার স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজীয় পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করছে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ নিজ উদ্যোগে হতদরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করছেন।
লকডাউনে দিনের পর দিন একাধারে বাড়িতে থাকা কষ্টকর। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা দিনে কর্ম করে চলে, দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক সহ হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী। তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারপরও নিজের, নিজের পরিবার ও সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তা করোনা কালীন সতর্কতা বাস্তবায়ন জরুরি প্রয়োজন।
এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ কালীন গেরিলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব ফজল আহমদ প্রতিবেদককে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনা একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। এটি জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা রাখতে হবে। করোনার যে বর্তমান অবস্থা, এই করোনা মহামারী দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ সময় দেশের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করে করোনার বিরুদ্ধে সর্ব দলীয় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ কমিটি ঘোষণা সময়ের দাবী। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে, করোনা কালীন সংকটে নিমজ্জিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এজন্য গ্রামে,পাড়ায়, মহল্লায় তরুণ, তরুণীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকার সকল পেশার মানুষের সমন্নয়ে করোনা প্রতিরোধক সচেতনতা কমিটি গঠন করতে হবে। কেননা চিকিৎসার পাশাপাশি এখন সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করা এবং অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিরুৎসাহিতকরণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে সমাজের বিত্তবানরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এখন সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং প্রতিটি মানুষকে করোনা পরীক্ষা ও টিকার আওতায় আনার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করতে হবে। এ কাজে দলমত নির্বেশেষে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজন্য সরকারি নির্দেশনা প্রয়োজন।
সরকারি নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি গ্রামে, পাড়ায়, মহল্লায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে পারলে, তাদের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেখভাল করা, গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা, করোনা কালীন সতর্কতার প্রচার ও করোনা কালীন সংকটে নিমজ্জিত অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান সহজ হবে।