
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
গত ৭ ফেব্রুয়ারী যখন কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিশিল্ডের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়, তখন অনেকে ভয়ে কিংবা কুসংস্কারে টিকা গ্রহনে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্ত সরকার যখন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জনগণকে বুজাতে সক্ষম হয়েছেন, করোনা ভাইরাস হতে মুক্তি পেতে হলে টিকা গ্রহনের বিকল্প নেই। এইছাড়া টিকা গ্রহন করলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যু ঝুঁকি থাকে না, এরপর কাপ্তাইয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক মাসে টিকা নিতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এইছাড়া গত ৭ আগস্ট কাপ্তাইয়ের ৫ টি গণটিকা কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সিনোফার্মের টিকা গ্রহন করতে দেখা যায়।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ ওমর ফারুক রনি জানান, কাপ্তাইয়ে গত শুক্রবার পর্যন্ত সর্বমোট ১২ হাজার ৩ শত ৯৬ জন কোভিশিল্ড এবং সিনোফার্মের টিকা গ্রহন করেছেন। তৎমধ্যে সিনোফার্মার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করলেন ৭ হাজার ৪শত ২০জন এবং কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করলেন ৪ হাজার ৯ শত ৭৬ জন।
তিনি জানান, গত ১৪ জুলাই কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য সিনোফার্মার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এবং ইতিমধ্যে সিনোফার্মার ২য় ডোজ টিকা নিলেন ৯৫ জন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে কোভিশিল্ডেের ২য় ডোজ টিকাও গ্রহন করেছে ৩ হাজার ৯ শত ৭৪ জন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুদ আহমেদ চৌধুরী জানান, কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহনের জন্য এই পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৭ শত ৬৫ জন নিবন্ধন করেছেন। এ মূহুর্তে হাসপাতালে সিনোফার্মার টিকা মজুদ আছে ৩শত ৪৪ ডোজ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন যে হারে মানুষ স্বাস্থ্য বিভাগে টিকা নিতে আসছেন, সেই হারে পযাপ্ত পরিমান টিকা স্বাস্থ্য বিভাগে মজুদ নাই। ফলে অনেকে নিবন্ধন করেও টিকা নিতে পারছেন না।