
খুলনা সদর
ফটো সাংবাদিক রাজু শেখঃ
মোংলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্র“পের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকেই সুন্দরবন ইউনিয়নে আহাদুল ও ইকরাম ইজারাদার গ্র“পের মধ্যে চরম দন্ধ চলে আসছিল। ইতিপূর্বে তাদের পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে মোংলা থানায়। একরাম ইজারাদার গ্র“পের বাঁশতলা বাজারের ব্যাবসায়ী কবির হোসেন’র একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগে নিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোংলা থানায়। সন্ধ্যায় বাঁশতলা বাজার থেকে মোংলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে একরাম গ্র“পের লোকজনের উপর আর্তকিত হামলা চালায় আহাদুল গ্র“পের লোকজন। এমনই দাবি একরাম ইজারাদারের। এতে উভয়পক্ষের কমবেশী ১৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের মধ্যে সৌদ খান (২৮), লিয়াকত খানঁ (৬০), মাছুদ গাজী (৫৭), নুরুল ইসরাম মলিক (৪৬), মাছুম খান (৫৫), টুকু মোড়ল (২৮) দেলোয়ার শেখ (৪০), বেলাল খান (৪৫), নাজমুল খাঁন (২০), আউয়াল খাঁন (৩৬) ইয়ামিন খাঁন (৬০) ও রিপন (৩৫)এর নাম পাওয়া গেছে। আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একরাম গ্র“পের দাবি তাদের সৌদ খান, লিয়াকত খান, মাছুম গাজী ও নুর ইসলাম মলিক গুরুতর আহত হয়েছে। আর আহাদুল গ্র“পের বেলাল, এনামুল, রিপন ও ইয়াসিন হোসেনের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এদিকে বাশতলা বাজারে দুই গ্রæপের মারামারীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ছুটে যান মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সুন্দরবন ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একরাম ইজারাদার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এস এম ফয়সাল ইসলাম স্বর্ন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে হাসপাতালে মারামারীর লোকজন আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের মধ্য থেকে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৪ জনের অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি এর মধ্য থেকে কাউকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর প্রয়োজন হলে তাকেও খুলনায় পাঠানো হবে। মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজারে দুইপক্ষের মারামারীর খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে আমিসহ পুলিশের একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এছাড়া বড় ধরনের কোন সহিংসতা বা সংঘর্ষের ঘটনা পুনরায় না ঘটে সেজন্য বাঁশতলা বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনী তবে অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।