নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
সখীপুর উপজেলা জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের বর্তমান সভাপতি মো.সাইফুল ইসলাম ও সম্পাদক মোশারফ হোসেনকে অনাস্থা এবং ওই কমিটিতে বিভিন্ন পদ-পদবীতে থাকা ২৮জন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। সভাপতি-সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারীতা, সীমাহীন দুর্নীতি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনিয়মের কারণে গত ১২আগষ্ট তাঁরা জেলা কমিটির সভাপতি -সম্পাদকের কাছে তাদের পদ ত্যাগ পত্র জমা দেন। অভিযোগ উঠেছে, ৩৭ জন সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির ২৮ জন সদস্য পদত্যাগ করায় মাত্র ৯জন নিয়ে স্বৈরাচারীভাবে সমিতির কার্যক্রম চালাচ্ছেন স্বঘোষিত সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
জানাযায়, অনেক আগেই সমিতির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে বর্তমান সভাপতি স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিজেই সভাপতি হয়ে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর স্বঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন শুরু করে সমিতির অধিকাংশ সদস্য। আন্দোলনের তোপের মুখে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের চাপে বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মাও.হাবিবুর রহমানকে আহবায়ক করে নতুন কমিটি করে দিতে বাধ্য হয়। আহবায়ক কমিটি সমিতির সমস্ত হিসাব ও দলিল দস্তাবেজ বুঝে নিতে চাইলে ব্যর্থ হয়। পরে আহবায়ক কমিটির অজান্তে সমিতির ঘরে নতুন তালা লাগিয়ে দেয় সাইফুল ইসলাম। এতে সমিতির সদস্যরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে মারামারির মতো অঘটন। অঘটন এড়ানোর জন্য কেউ কেউ জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনায় করছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগকারী বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো.আ: লতিফ বলেন, সভাপতি সীমাহীন দুনীতিবাজ ও অর্থলোভী থাকায় সমিতির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চায় না।
অধ্যাপক আবদুস ছালাম বলেন, সমিতির টাকার হিসাব মিলাতে ব্যর্থ হওয়ায় অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইছে। কিন্তু সমিতির টাকার পাই পাই হিসাব দিতে হবে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীন (মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি) সখীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো,সাইদুল ইসলাম বলেন,আমি জানতে পারি ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধান তাহাদের ব্যক্তিগত সার্থ হাসিলের জন্য এবং সমিতির মধ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অনুমতিত কমিটি থাকা অবস্থায় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে, এবং সেই কমিটি বলবদ রাখার জন্য সমিতির সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন অপকৌশল ব্যবহার করে নিজেদের বানানো পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর আনে, যাহা বিধান বহির্ভূত।