
কবি- সুমাইয়া সুমি
বৈশাখ মাসের দুপুরবেলায়
ঘুমিয়েছিলাম ঘরে,
হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেল
জানিনা কেমন করে।
তবুও বালিশে মাথা রেখে আমি
শুয়েছিলাম আনমনে,
ঘরের পেছনে ছোট বাচ্চাদের
শব্দ এলো কানে।
বাড়ির পেছনে লিচু গাছ আর
ফজলী আমের বন,
কারা যেন এসে খেলছে সেথায়
বলল ডেকে মন।
কৌতুহলে ঘরের পেছনে
চুপিসারে আমি গিয়ে,
দেখিলাম কিছু ছোট ছেলে মেয়ে
খেলছে পুতুল নিয়ে।
বাবা মা সেজে দিচ্ছে তারা
পুতুল সোনার বিয়ে,
বিরাট আয়োজন করেছে তারা
পুতুলের বিয়ে নিয়ে।
কেউ সেজেছে কাজী সাহেব
কেউ সেজেছে যাত্রী,
প্লাস্টিকের পুতুল দিয়ে
বানিয়ে বিয়ের পাত্রী।
কেউবা তাদের ব্যাস্ত রান্নায়
কেউ আনছে পানি,
বারে বারে কেউবা দেখছে
বউয়ের মুখ খানি।
বিয়ের পালা শেষ হল যেই
ধুলা মাটির খাবার,
মিছে মিছি খেয়ে সবাই
দিলো করে সাবাড়।
বিয়ে শেষে বউকে নিয়ে
যাবে শশুর বাড়ি,
আম গাছের এক ডালকে তারা
বানালো বিয়ের গাড়ী,
সবাই মিলে উঠল গাছে
বসল এক ডালে,
সকলে মিলে চালাচ্ছে গাড়ি
ঝাকি মেরে এক তালে।
ঝাঁকির চোটে ডালটি হঠাৎ
পড়ল ভেঙ্গে নিচে,
শব্দ পেয়ে আমার মায়ে
করল তাড়া পিছে।
যে যার মত পালালো ছুটে
দুষ্টুমতির দল,
আমি তখনও স্মৃতির মাঝে
খুজছি শৈশব কাল।
কবি পরিচিতি:
নাম: সুমাইয়া সুমি
জন্মস্থান: নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায় ইতনা গ্রামে।