মৌলানা নুরুল হক রাজস্থলীঃ

রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ২ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী বুধবারের মধ্যে নিজেরা সরে না গেলে যে কোন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হবে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে উপস্থিত দখলকারীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর আগে ৩/৪ বার তাদের মৌখিক ও লিখিত আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও এখনো ৪ জন ব্যক্তি অবৈধ দখলদারের পরিবার হাসপাতালের নামিয় জায়গা ছাড়েনি বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা জানান, এক একর ৯০ শতাংশ পাহাড় ও সমতল জায়গা সুদীর্ঘকাল অবৈধ ভাবে দখল নিয়ে প্লট করে ঘরবাড়ী তৈরী করে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র।এ চক্র টি নির্বিচারে পাহাড় ও সমতল ভূমি জীববৈচিত্র ধ্বংস করায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে রাজস্থলী সদর হাসপাতালের নামিয় ভূমি। এ লক্ষে প্রথম দফায় ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ সেমি পাকা ঘর ছেড়ে দিতে অবৈধ দখলদার দের সময় বেধে দেয় উপজেলা প্রশাসন। ১৭ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় হেডম্যান ও গনমাধ্যমকর্মী সহ উপজেলা সদর হ্সপাতালের পূরান জায়গা পরিদর্শন করে সেখানকার দখলকারীদের নোটিশের মাধ্যমে সরে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফায় সময় বেধে দেন। সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা দখল ছাড়েনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাশ পূর্বকোণ কে বলেন, কয়েক বছর যাবৎ উপজেলা সদরের হাসপাতালের পূরাতন জায়গা প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা কিছু ভূমিদস্যু দখল করে আছে। ইতিপূর্বে কয়েকজন কে উচ্ছেদ করা হলে ও এখনো কয়েক জনের অবৈধ বসতি ও স্থাপনা রয়েছে। এ সব স্থাপনা সেমিপাকা ঘর সহ সব গুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। তবে তার আগে আরো কয়েক দিন সময় দেওয়া হযেছে। এ সময়ের পর যে কোন সময়ে সবকটি স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে। সরকারের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সে খানে এখন আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে রয়েছে।তিনি আরো বলেন প্রশাসন কোন অবস্থাতে অবৈধ বসতি রাখবে না। সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে যা যা করার সবই করা হবে।