
” শহিদুল ইসলাম মহেশপুর থেকে “
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শামছুল হুদা খাঁন কলেজ (বিদ্যাধরপুর) ফলাফলে উপজেলার ১০টি কলেজের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬ বছর এইচ, এস, সি পরীক্ষার ফলাফল উপজেলার শীর্ষে।
এ বছর ৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৯০% এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২জন। এই কলেজটি বিগত ৬ বছরে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে। অন্যান্য কলেজের মধ্যে (২০১৮) আলফাতুননেচ্ছা ডিগ্রী কলেজ ৮৪%, ডাঃ সাইফুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ ৭৫%, মহেশপুর পৌর মহিলা কলেজ ৬৫%, যাদবপুর কলেজ ৮১%, পদ্মপুকুর ডিগ্রী কলেজ ৭১%, সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান কলেজে ৬০% এ কলেজে জিপিএ পেয়েছে ৬ জন, মহেশপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজে ৪১% এই কলেজে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন, ভৈরবা শহিদুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ ৭৮%।
বিগত ৬ বছরের ফলাফল ২০১৩ সালে পরীক্ষার্থী ৬৬, কৃতকার্য= ৬২,পাশের হার ৯৪%, ২০১৪ সালে
পরীক্ষার্থী ৪৫, কৃতকার্য্য= ৪২,পাশের হার ৯৩.৩৩%, ২০১৫ সালে
পরীক্ষার্থী ৫০, কৃতকার্য = ৪৮,পাশের হার ৯৬%, এ+ = ৫, ২০১৬ সালে পরীক্ষার্থী ৭৫, কৃতকার্য= ৭৫, পাশের হার = ১০০%, এ+ ৫ জন,
২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী ৬৬, কৃতকার্য ৬৬, পাশের হার = ১০০%, এ+ ৪জন, ২০১৮ সালে
পরীক্ষার্থী ৯৩, কৃতকার্য্য= ৮৪,পাশের হার ৯০%, এ+ ২ জন।
এ ফলাফলের পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এক ঝাঁক মেধাবী শিক্ষক শিক্ষিকা। যাদের ছোঁয়া পেয়ে ভাল ফল করে ছাত্র/ছাত্রীরা স্থান করে নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় সহ দেশের নাম করা বিদ্যাপীঠে। তবে দুঃখের বিষয় কলেজটি নন এমপিও। কলেজটির অধ্যক্ষ জনাব এ,বি,এম শাহ-আলম সাহেবের সাথে সাক্ষাতে তিনি বলেন আমাদের কলেজটি যদি সরকার এমপিও ভূক্ত করে দিতো তাহলে আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতাম এবং শান্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে পারতাম ও পাঠদানে আরো মনোযোগী হতে পারতাম। অভিভাবক ও এলাকার জনগনের কাছে শামছুল হুদা খাঁন কলেজ এলাকার গর্ব।