চট্টগ্রামে মৃত ব্যক্তির নামে চার্জশিট দিয়েও বায়েজিদে রয়ে গেলেন এস আই আজহারুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম।

পুলিশই জনতার জনতাই পুলিশ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করে সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার সিভিল টীমের ইনচার্জ “পুলিশ” এস আই আজহারুল ইসলাম মৃত ব্যক্তির নামে চার্জশিট দিয়েও ক্ষমতার দাপটে বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামি থানাতে কর্মরত আছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে এক আতঙ্কের নাম এস আই আজহারুল যার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার মো. শাহজাহান স্টোকজনিত কারণে ২০২০ সালের ১৮ই জুন মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের ৩১শে আগস্ট মৃত শাজাহানকে অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতের চার্জশিট দাখিল করেছিলেন বায়েজিদ থানা পুলিশ।মৃত শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে টনক নড়ে পুলিশের। পুলিশ গ্রেফতার করতে গিয়ে জানতে পারে চার্জশিট দেওয়ার প্রায় এক বছর পূর্বেই মারা গেছেন শাহজাহান।

বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই রুবেল মিএ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় দেড় বছর তদন্ত শেষে ২৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বায়েজিদ থানার এস আই আজহারুল ইসলাম। তিনি মামলাটির তৃতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর আগে আরো দুজন এসআই মামলাটির তদন্ত করেছিলেন, তারা হলেন এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাসিম ও এস আই ইকবাল হোসেন। তদন্ত প্রতিবেদনে শাহজাহানকে ১৯ নম্বর আসামী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আগামী ২৬/১০/২০২২ইং তারিখে আদালতে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক ভুক্তভোগীকে চাঁদা না দেয়ায় মিথ্যা মামলার আসামি ৯ মাস ২২দিন কারা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী রুবেল বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.অলিউল্লার আদালতে ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান সহ ১৪জন পুলিশ ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা ক্যাশিয়ার সোর্স আকাশসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি, যার মধ্যে এসআই আজারুল ইসলাম অন্যতম। ভুক্তভোগী রুবেল আরো বলেন, আদালতে দায়ের করা আমার মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বায়েজিদ থানার এসআই আজহারুল ইসলামসহ অনেকেই হুমকি প্রদান করছেন প্রতিনিয়ত। তাই আদালতে দায়ের করা আমার মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ সকল মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার সিভিল টিমের ইনচার্জ এসআই আজহারুল ইসলাম আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, মৃত ব্যক্তি শাহজাহানের চার্জশিট দেওয়ার পূর্বে তিন জন কর্মকর্তা মামলাটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আমি সর্বশেষ কর্মকর্তা হিসেবে মামলার চার্জশিট প্রদান করার পরে জানতে পারি শাহাজাহান মৃত বরণ করেছেন। অন্যদিকে মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে জামিনে এসে আদালতে রুবেল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা করার পর রুবেলকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগী রুবেল। রুবেলের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই আজহারুল ইসলাম বলেন আমি তাকে হুমকি দিব কেন আমি যদি চাই সে এলাকায় থাকতে পারবে না।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত