
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ ০২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কাপ্তাই জোনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য শান্তি র্যালি ও আলোচনা সভা র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল নুর উল্লাহ জুয়েল পিএসসি। এছাড়াও কাপ্তাই জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন উপ- অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফীন, রাংগামাটি জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য জনাব অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহাদাৎ হোসেনসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের হেডম্যান-কারবারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জোন কমান্ডার বেলুন উড়িয়ে এবং কবুতর অবমুক্ত করার মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম আরম্ভ করেন। শান্তিচুক্তি দিবসের র্যালিটি কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে আরম্ভ হয়ে, মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা, পাহাড়ি ও বাংগালী ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তি চুক্তির বিভিন্ন ফেস্টুন ও প্লেকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে কাপ্তাই জোনের জোন সদর দপ্তরে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই জোনের জোন সদরস্থ শহীদ সিপাহী আফজাল হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্থানীয়। পাহাড়ি এবং বাংগালী নেতাগণ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির সুফল এবং বর্তমানে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এই সময় কাপ্তাই জোনের জোন কমান্ডার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী মানুষের জন্য শান্তি চুক্তি ছিল সরকারের একটি যুগান্তকারী এবং মহৎ উদ্যোগ। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে সাধারন পাহাড়ি এবং বাংগালী জনগোষ্ঠীরা আজ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাস্তাঘাট, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন এক শ্রেণীর উগ্রপন্থী পাহাড়ি সন্ত্রাসী জনগোষ্ঠী শুধুমাত্র নিজেদের লাভের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সাধারন মানুষকে অবেধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও জিম্মি করার মাধ্যমে শান্তি চুক্তির মূলধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন শৃংখলা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে জোন কমান্ডার বলেন, শুধুমাত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তাদের পরিবারের কথা না ভাবলে তাদের মূলউৎপাঠন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরিশেষে, জোন কমান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকলের সুখ ও সমৃদ্ধ পার্বত্য শান্তি চুক্তির সফলতা কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করেন। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য শান্তিচুক্তি দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই জোনের আওতাধীন রাজস্থলী উপজেলা ও বাংগালহালিয়া এলাকায় পৃথকভাবে শান্তি র্যালি, আলোচনা সভা, প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ এবং মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।