সম্পত্তি দখল করতে ছোট ভাই আলমগীর নূরকে হত্যা ও অপহরণ চেস্টা বড় ভাই আলী ইউসুফ, কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী অনিক দাসসহ অজ্ঞাত শতাধিক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা চেস্টা মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গত ২৪ তারিখ রাত ৮.৩০ মিনিট আলমগীর নূর এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামীয়া ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল এ অবৈধ অনুপ্রবেশ করিয়া শতাধিক কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও পেশাদার মাদককারবারী নিয়ে  আপন বড় ভাই আলী ইউসুফ এর নির্দেশ ও নেতৃত্বে আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টা এবং আলমগীর নূর এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি সেন্টার জবর দখলের ঘটনায় আলী ইউসুফকে ১ নং ও আলী ভাড়াটে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী অনিক দাসকে ২ নং এবং জাহাঙ্গীর আলমকে ৩নং আসামী করে অজ্ঞাত শতাধিক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০৭/৪৬৮/৪৪৭/৩২৩/৩৮৪/৫০৬/৩৪ ধারায় সি আর মামলা নং- ২৮১/২০২৩ দায়ের করেছেন আলমগীর নূর।
অবিযোগসূত্র ও বাদীর এজাহার থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামে প্রতারণামূলকভাবে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে বড় ভাই আলী কর্তৃক ছোট ভাই ভুক্তভোগী আলমগীর নূর এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করায় এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সম্পত্তি নিজের দাবী করে ভিন্ন ব্যক্তির সাথে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প সরবরাহের পূর্বে জাল চুক্তিপত্র সৃজন ও ব্যবহার করায় এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে ছোট ভাইকে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টায় দুই সহোদর ভাই এবং কিশোর গ্যাং লিডার অনিক দাশসহ অজ্ঞাতনামা শতাধিক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিাকলিয়া নুর মোহাম্মদ সওদাগরের ছোট ছেলে আলমগীর নূর। সংবাদদাতা এবং মামলার বাদীর বর্ণনা মতে আরো জানা যায়, বাকলিয়ার থানার কালামিয়া বাজারের পূর্ব পাশে মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ সওদাগরের মৃত্যুর পর তাহার চার পুত্র দুই  কন্যা এবং এক স্ত্রী তাহার সম্পত্তির মালিক হন। নুর মোহাম্মদ সওদাগরের সম্পত্তি চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যামান রয়েছে। নুর মোহাম্মদ সওদাগরের বড় ছেলে আলী ইউসুফ এবং সেজ ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দুজনই মাদক মামলায় দন্ডিত আসামি হয়েছিলো ইতিপূর্বে। উক্ত দুই বড় ভাই এর সহিত তাহাদের কনিষ্ঠ ভাই আলমগীর নুরের সম্পত্তির সুষম বন্টন বিষয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে। আলী ইউসুফ, জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন  হতে নুর মোহাম্মদ সওদাগরের সম্পত্তি ওয়ারিশগণের মধ্যে বন্টন না করিয়া জোরপূর্বকভাবে দখল করিয়া এবং বিরোধ জিইয়ে রেখে নিজেরা লাভবান হয়ে আসছে। লোভাতুর হয়ে উক্ত আলী ইউসুফ ও জাহাংগীর আলমের উক্ত সকল অপকর্মে পরষ্পর অনৈতিক যোগসাজশে ইন্দন জোগাইয়ে ফায়দা লুঠছে  অত্র মামলায় বর্ণিত তাহাদের মৃত বোন শাহানাজ বেগমের ভগ্নিপতি ফজলুল বারী চৌধুরী।

আলমগীর নূর বার বার পিতার সম্পত্তি সরসে নিরসে বন্টনের জন্য এবং সমস্ত সম্পত্তির তথ্য অবগত করার জন্য আলী ইউসুফ ও জাহাঙ্গীর আলমকে তাগিদ দিলে তা কর্ণপাত না করিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় তালবাহনা করিতে থাকে। আলী ইউসুফ এবং জাহাঙ্গীর আলম পরস্পর যোগসাজসে সম্পত্তি ও বিষয়বস্তুর তথ্য প্রতারণামূলকভাবে আলমগীর নুরকে না জানিয়ে তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখে বাকলিয়া মৌজার ৭৯৪ নং খতিয়ানের বি.এস. ২৪২১০, ২৪২১১, ২৪২১৭ দাগের সম্পত্তির বিষয়ে ৫ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা ২৯৫১/২১ মামলা দায়ের করে। অপর দিকে জাহাঙ্গীর আলম ভুক্তবোগী আলমগীর নুরের স্ত্রী ইয়াসমীন আকতারের বাকলিয়া মৌজার ২৯২২ নং খতিয়ান হতে আগত ৫৭৭৯ নং নামজারি সৃজিত খতিয়ানের সম্পত্তিতে তাহার কোন প্রকারের স্বত্ব স্বার্থ না থাকার পরও প্রতারণামূলকভাবে নিজের দাবী করে গত ২৯ শে জুন ২০২১ইং তারিখে চট্টগ্রাম ট্রেজারি হতে সরবরাহকৃত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সিডিএ এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা  গ্রæপের ম্যানেজার অসীম কুমার হালদারের সাথে জায়গা ব্যবহারের জন্য একটি জাল চুক্তি সম্পাদন করে।

চলমান পৃষ্ঠা-২

আলমীগর নূর উক্ত মামলার ওকালনামা ও আরজিতে তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে তার বড় ভাই আলী ইউসুফ এবং তার স্ত্রীর সম্পত্তি নিজের দাবী করে ট্রেজারি হতে ২০২১ সালে স্ট্যাম্প সরবরাহের পূর্বে ২০১৯ সাল দেখিয়ে অসীম কুমার হালদারের সাথে জায়গা ব্যবহারের জন্য চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা আলমগীর নূরকে সঠিক ও যথাযথ উত্তর না দিয়ে তার উপর ক্ষীপ্ত হয়। আলমগীর নূর উক্ত বিষয়ে তার ভাইদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানোর পর তার বড় ভাই  আলী ইউসুফ  এবং জাহাঙ্গীর আলম তাকে এবং তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত ২৪ জানুয়ারী রাত ৮.৩০ ঘটিকায় আলমগীর নুর কে.সি.দে রোডে অবস্থিত তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগত গ্রাহকদের সাথে হল বুকিং নিয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। এমন সময় তার ভাই আলী ইউসুফ এবং জাহাঙ্গীরের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে আলী ইউসুফ এর নির্দেশে কোতোয়ালী থানাধীন ইকবাল রোডের বাসিন্দা প্রবীর কুমার দাশ এর ছেলে কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসী লিডার অনিক দাশ শতাধিক স্ব-শস্ত্র সিন্ত্রাসী নিয়ে আলমগীর নূরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আলমগীর নূরকে জোরপূর্বকভাবে অফিস হইতে অপহরণ করিয়া নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসী অনিক দাশ আলমগীর নূরকে তার অফিস হইতে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে। আলমগীর নূর এ সময় সন্ত্রাসীদেরকে তার অফিস হইতে চলে যেতে বলার সাথে সাথে অনিক দাশ সহ কয়েক জন সন্ত্রাসী আলমগীর নূরের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা চেষ্টা করে এবং অফিসের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর সহ তছনছ করে ফেলে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী অনিক দাশ ভিকটিম তথা মামলার বাদীর পকেট থেকে ২৯৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।   এ সময় আলমগীর নূর জরুরি ভিত্তিতে ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার পুলিশ আসে। পুুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীগণ দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আলমগীর নূরের ব্যাবসা প্রতিশ্ঠান ও অফিস তার বড় ভাই আলী ইউসুফ এবং জাহাঙ্গীরকে ছাড়িয়া না দিলে জানে মারিয়া ফেলিবে বলে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় আলমগীর নূর বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রæয়ারী মাননীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। মাননীয় আদালত আলমগীর নুরের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পি.বি.আইকে নির্দেশ প্রদান করেন। আলমগীর নূরের স্বাক্ষর জালিয়াতি করায় তার বড় ভাই আলী ইউসুফ এবং তার স্ত্রীর সম্পত্তি নিজের দাবী  করে ভিন্ন ব্যক্তির সাথে চুক্তি করায় তার অপর ভাই জাহাঙ্গীর এবং আলমগীর নূরের অফিস দখল এবং তার কাছ থেকে নগদ ২৯৭০০ টাকা ছিনতায় এবং হত্যা প্রচেষ্টায় অনিক দাশ সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ১ ও ২ নং আসামি পুনরাই ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামীসহ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। আসামীদের হুমকির ফলে আলমগীর নূর ও তার স্ত্রী বর্তমানে চরম নিরপত্তাহীনতায়  রয়েছে। উক্ত বিষয়ে মামলার বাদী আলমগীর নূর পুলিশ কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত