সচেতন হতে হবে অভিভাবক: ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করাও অপরাধ বলে গণ্য হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

আজকের কর্ণফুলী ডেস্কঃ

বিগত সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ সফল হয়েছে। তবে সেই অবস্থানকে ধরে রাখতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় সজাগ নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাতেও সক্রিয় ভূমিকায় থাকবে তারা।

২০১৫ সালের ব্যবস্থা মোতাবেক বাংলাদেশে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের সাথে ওই প্রশ্ন সংগ্রহ করাকেও অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। এদিকে বর্তমান আইনে চার বছরের জেল এবং জরিমানার যে বিধান রয়েছে, নতুন আইনেও সেটাই বহাল রাখা হয়েছে।

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করলে অথবা এই তৎপরতায় জড়িত থাকলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। একইসাথে কেউ প্রশ্ন সংগ্রহ করে অপরাধে সহায়তা করলে তাকেও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় আগ্রহী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে আসছে প্রতারক চক্র। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এ সংক্রান্ত গুজব থেকে দেশ, জাতি এবং শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, সন্তানদের এই পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারবেন কেবল অভিভাবকরাই। সন্তান এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সেটা অভিভাবকদের জানার কথা। তাই অভিভাবকরা সচেতন হলে এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হবে।

তারা আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত ব্যাধির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে যূথবদ্ধভাবে। জাতি বিনাশী, প্রজন্ম ধ্বংসকারী এই অপক্রিয়া এখনই কঠোরভাবে ঠেকাতে না পারলে আমাদের সর্বনাশের খতিয়ান আরও দীর্ঘ হবে। এমনটি চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যায় না। সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরাসহ সচেতন সবাইকে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত