প্রেস বিজ্ঞপ্তি,

(মঙ্গলবার ১৬ মে, ২০২৩) সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঝড়, জলোচ্ছাস ও বন্যার্ত মানুষের পাশে যেভাবে আপনজনের মতো হয়ে তাঁর দু’হাত প্রসারিত করেছেন, যেভাবে সেবা করেছেন সেই আদর্শ অনুসরণ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মোখা-উত্তর সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা প্রদানের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ। বেগম রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে বলেন, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া। যেমন গর্জেছে তেমন বর্ষে নাই। তার পরেও মোখার আঘাতে যথেষ্ঠ ক্ষতি সাধিত হয়েছে সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারের কিছু এলাকায়। ঘুর্ণিঝড় মোখার কারণে সেখানকার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে ও টিনের-বাঁশের বাড়িঘর গুলো উড়ে গেছে। কক্সবাজারে ও সেন্টমার্টিনে হাজার হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিনের অনেক মানুষ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে, রয়েছে খোলা আকাশের নিচে। ক্ষতিগ্রস্থরা নিজেদের মতো করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি দলমতের উর্ধ্বে উঠে সকল নেতা-কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে যার কাছে যা আছে তাই দিয়ে সাহায্য করার আহবান জানান। বেগম রওশন এরশাদ আরো বলেন, মোখার পূর্বাভাসের কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় পানি ও বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। কলকারখানার চাকাও অনেকটা থমকে গিয়েছিল। এখনও এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মহেশখালীতে তিন লবন চাষীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরকারকে নিহত পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পূর্ণবাসন-সংস্কার করার ও গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সংকট দ্রæত সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বার্তা প্রেরক
(জামাল উদ্দিন জামাল)
প্রেস সচিব
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি
জাতীয় পার্টি