চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
অন্যায় অপরাধ যে কেউ করে থাকুক না কেন তার শাস্তি তাকে পেতেই হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য দীর্ঘ ২০বছর আগে
দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও নৃশংস হত্যাকারী নানা অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। হাটহাজারীতে দুর্ধর্ষ নৃশংসভাবে হত্যাকান্ড মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত নানা অপরাধী আসামী দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার ডাকাতির সময় ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলম ডাকাত দলকে চিনে ফেলায় নৃ:শংস নির্মমভাবে হত্যা করে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মিডিয়া সেন্টার,চান্দগাঁও ক্যাম্পে উক্ত বিষয়ে ব্রিফিং করেন। গতকাল রাতের অভিযানে নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামী দিদার পিতা-মৃত সৈয়দ আহাম্মদ,সাং-ফটিকালতি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার সিপিসি-০৩ এর মেজর মেহেদী হাসান বলেন। সাথে ছিলেন মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আফসার ও সিপিসি-২ এর স্কোয়াড্রন কমান্ডার এএসপি জোনায়েদ। ২৫ নভেম্বর ডাকাতকালে হাটহাজারী টু মোহাম্মদপুর গামী রাস্তায় ব্লক দিয়ে সাধারণদের আটকে হাত পা বেধে নির্যাতন, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা,মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়াকালে ভিকটিম জাহাঙ্গীর ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলার কারণে হত্যার উদ্দেশ্যে উরুতে রাম-দা দিয়ে কুপিয়ে,সারা শরীরে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখমসসহ মারাত্মক জখম করে আহত করে পালিয়ে যায়। এসময় চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় মোঃ ফজল ড্রাইভারসহ ভুক্তভোগী আরো ৭/৮ জনকে হাত-পা বাধা,আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত জাহাঙ্গীর মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎধীন মৃত্যু হয়। ফজল আহাম্মদ ড্রাইভার বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলায় ঐদিন রাতেই আসামী দিদারকে পুলিশ আটক করে। জামিনে মুক্তিতে নিয়মিত হাজিরা দিলেও পরে হাজিরা না দেয়ায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে সে পলাতক হয়ে যায়। ৩০মে ২২ইং আদালত সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে দীর্ঘ বিচার কার্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে দিদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডিত করে। র্যাব-৭ এর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্তেগোপন সংবাদে পলাতক আসামী দিদারুল আলমকে মহানগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি ও হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্তসহ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে। গ্রেফতার এড়াতেই দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।এবং হাটহাজারী থানায় ডাকাতি,ডাকাতির প্রস্তুতি,মাদকের ৩টি মামলা রয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।