কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ

কাপ্তাইয়ের রাইখালীর পূর্বকোদালা এলাকায় ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যা করেছে তার প্রাইভেট শিক্ষক অংবাচিং মারমা (৪৫) প্রকাশ বামং। পরে নিহত স্কুল ছাত্রীর মরদেহ কাপড়ের বস্তা ভরে ফেলে দিতে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে অাটক করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ।

নিহত স্কুল ছাত্রী মিতালী মারমা (৯) রাইখালীর পূর্বকোদালা এলাকার সাথুই অং মারমার মেয়ে। সে পূর্বকোদালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. অাশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এই প্রতিবেদককে জানান, শনিবার সকাল ৭ ঘটিকায় নিহত মিতালী মারমা সহ তার সহপাঠিরা রাইখালী ইউনিয়নস্থ বড়খোলা পাড়া এলাকায় স্থানীয় ডা. অংসুইপ্রু মারমা বাড়ীতে শিক্ষক অংবাচিং মার্মার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়, সকাল ১০ ঘটিকায় অন্যান্য সহপাঠিরা স্কুলে গিয়ে বিকেল ৪ টায় ঘরে ফিরে আসলেও নিহত মিতালী মার্মা ঘরে না আসায় তার স্বজনরা চারিদিকে খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে শিক্ষকের নিকট ছুঁটে যান। শিক্ষকের কথাবার্তায় সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি রাইখালী চেয়ারম্যানক সায়ামং মার্মাকে অবহিত করা হয়। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টায় শিক্ষক অংবাচিং মারমা বস্তাবন্ধি লাঁশ নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা কর্তৃক মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে চন্দ্রঘোনা থানার এস.অাই ইস্রাফিল সংঙ্গীয় ফোর্স সহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পূর্বকোদালাস্থ ডা. অংসুইপ্রু মারমার বাড়ির দক্ষিনে স্থানীয় চিংম্রাচিং মারমা জমির খালী জায়গা হতে বস্তাবন্ধি লাঁশ সহ তাকে অাটক করে চন্দ্রঘোনা থানায় নিয়ে আনেন। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, নিহত মিতালী মারমাকে অতিরিক্ত পড়ানোর বাহানা দিয়ে অাটক করে তাকে অাটক করে অনৈতিক কাজ করতে গেলে সে চিৎকার শুরু করলে তাকে গলায় শুতলি ও কাপড়ের হাত বেগের রশি দ্বারা গলা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাঁশ বস্তা ভরে তার ঘরের সিলিংয়ের উপর লুকিয়ে রাখে। নিহত মিতালী মারমার লাঁশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর দেড়টায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এই ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।