স্টাফ রিপোর্টারঃ
সোনারগাঁ শক্তিশালী হচ্ছে মান্নান বিরোধী জোট।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনকে সামনে রেখে একজোট হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান বিরোধী নেতারা। বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম সক্রিয় কর পড়ো সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমপন্থী বলে তাদেরকে কমিটিতে না রাখা, সেইসব বিএনপির নেতারা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম কে নিয়ে এবার মাঠে নামছে,জানা যায় যে বিএনপির মধ্যে শক্তিশালী তিনটি সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, এবং স্বেচ্ছাসেবক দল।তিনটি সংগঠনের মধ্যে একটি সংগঠনও মান্নানের সাথে নেই । ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন বৈধ অবৈধ সকল সেক্টর মান্নান অনুগামীদের একক নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে কর্মীদের, আওয়ামী লীগ লোকদের দলে জায়গা দেওয়ার কারনে , রাজপথে ত্যাগীদের অমূল্যের কারণে মান্নানের কাছ থেকে আস্তে আস্তে সব কর্মীদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
রেজাউল করিম ও তার সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ঐক্যবদ্ধ হয়ে মান্নানবিরোধী শক্তিশালী বলয় তৈরি করার হয়েছে। দিনকে দিন মান্নানের বলয় থেকে নেতাকর্মীরা সটকে পড়ছেন নানা আশঙ্কায়। রেজাউল করিমও আগের চেয়ে শারীরিকভাবে একটু বেশিই সুস্থবোধ করছেন মনে হচ্ছে।
এদিকে নতুন করে আবারো নির্বাচনী মাঠে এসেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল। মূলত যারা আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বের বাহিরে ছিলেন সেইসব নেতাকর্মীরা এখন রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আছেন বেশ।
স্থানীয়রা আরো জানান, সোনারগাঁয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুকুল,
সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে মান্নান বিরোধী বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তারা।
অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন বৈধ অবৈধ সেক্টর আজহারুল ইসলাম মান্নান অনুগামী নেতাকর্মী ও তার ছেলে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের একক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে মান্নানবিরোধীরা সুযোগ নিয়েছেন। সোনারগাঁয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে মান্নানবিরোধীরা বেশি প্রচারণায় আছেন মান্নান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রচারণায়। রেজাউল করিম ও ওয়ালিউর রহমান আপেল এলাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে মান্নান ও তার লোকজনকে ইঙ্গিত করে দখলবাজি চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। একই কাজ করছেন ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল সহ মান্নান বিরোধী নেতারা। এভাবে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে মান্নান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে মান্নান বিরোধী নেতারা একজোট হচ্ছেন সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে।