হরিরামপুর হতে বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা র ছয়আনী গালা গ্রামে শাফিজুল ইসলাম এর কন্যা নুপুর (১১) নামক ঝিটকা পাইলট গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীর ওপর অত্র এলাকার আব্দুল কাদের দেওয়ান এর ছেলে আমির দেওয়ান (২১) ও রাহাত (২২) কর্তৃক যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে এমনটিই জানিয়েছেন অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে,গত ১৩ জুন রোজ শুক্রবার বিকালে ভিক্টিম নুপুর এর পরিবার ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন দিলে হরিরামপুর থানার এসআই সায়েম চৌধুরী ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থলে তদারকি করেন এবং ভিক্টিম নুপুর এর ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয়।
উল্লেখ,ভিডিও সাক্ষাৎকারে ভিক্টিম নুপুর জানায়,আমির দেওয়ান ও রাহাত তার শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে জোরপূর্বকভাবে হাত দেয় ও মারধর করলে ভয়ে সে নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করে। অঃপর সে দৌড়িয়ে পালিয়ে গেলে পরবর্তীতে আমির দেওয়ান ও রাহাত তাকে মুখ খুললে এসিড নিক্ষেপ করবো এমনটি বলে হুমকি দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে, আমির দেওয়ান ও রাহাত এর অভিভাবক কাদের দেওয়ান নুপুরের পরিবারের সাথে বসে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে এমনটিই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই। উপরিক্ত বিষয়টি ধামচাপা হওয়ার পরে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় এসআই সায়েম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কাদের দেওয়ান এর ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছোট ছেলের মোবাইল ফোন ও ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে যান এবং মীমাংসার হওয়ার পরেও মামলা ফেরত নিচ্ছে না এমনটি নিউজের শিরোনামে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার এসআই সায়েম চৌধুরীকে জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান,আমার বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত নিউজ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। ঘটনার বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবজ্ঞত করেছি। এ বিষয়টি নিয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুমিন খান জানান, এ বিষয়ে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ কোন পক্ষ হতে দেয়নি, আমি ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের মাধ্যমে পরে জানতে পেরেছি।
কাদের দেওয়ান এর মোবাইল ও ডিএসএলআর ক্যামেরা ফেরত দেওয়া হয়।