
বিনোদন ডেস্ক,এ.এস.রানাঃ
এদেশে স্বাধীন ধারায় চলচ্চিত্র নির্মাণ একটা যুদ্ধের সমতুল্য। নির্মাণ পরবর্তী প্রদর্শনী হচ্ছে আরেকটা যুদ্ধের সমতুল্য। প্রতিনিয়ত এই ধরনের যুদ্ধগুলো একজন নির্মাতার প্রাণ শক্তি নিংড়ে নেয় অনেকটাই। পোড়া এই দেশে তাই আলমগীর কবির কিংবা তারেক মাসুদ এর মত নির্মাতারা কাজ দেখানোর জন্য খুব বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারেন না। অসময়েই তারা খুন হয়ে যান। তবে এখনো তাদের দেখানো চলচ্চিত্র ফেরির ঘাম ঝরানো সে পথে হাঁটতে কদাচিৎ কাউকে কাউকে দেখা যায়। সম্প্রতি নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘’আহত ফুলের গল্প’’ নিয়ে দেশের আনাচে কানাচে ঘুরছেন অন্ত আজাদ বিকল্প প্রদর্শনী কর্মসূচি নিয়ে। কিছু জায়গায় নিজ হাতে মিলনায়তন রঙ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে সিনেমা হল বন্ধ হতে থাকা দুরুহ সময়ের মাঝে তিনি বিরাজমান ইন্ডাস্ট্রি এর পরিবেশন বেবস্থার আশ্রয় নেননি সঙ্গত কারণেই। কারণ স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র বরাবরই প্রথাগত প্রতিষ্ঠান বিরোধী। রাজধানীর বাইরেও, রাজধানীর তারকা শিল্পী ছাড়াও চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব, আধুনিক প্রযুক্তি চলচ্চিত্রকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য থেকে কুটির শিল্পের মর্যাদা দিয়েছে অনেকটাই। তবে প্রাণের দোলা লাগাতে হলে নির্মাতা, কলাকুশলী, শিল্পীদের সাথে দর্শকদেরকেও এগোতে হবে হাতে হাত রেখে। তাহলেই ফিনিক্স পাখির মতো ছাই থেকে জেগে উঠবে আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র।
ভালবাসা দিবসে ’’আহত ফুলের গল্প’’ শুনাতে অন্ত আজাদ এবার তার তাঁবু গেড়েছেন বন্দর নগরীতে।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ১৪,১৫,১৬ তারিখে প্রতিদিন পাঁচটি করে মোট ১৫টি প্রদর্শনী হবে চলচ্চিত্রটির। সকাল ১১টা, দুপুর ১টা, বিকাল ৩টা, বিকাল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টা এর সময় ‘’আহত ফুলের গল্প’’ প্রদর্শিত হবে। অন্ত আজাদের কাহিনি, চিত্র নাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় নির্মিত ‘’আহত ফুলের গল্প’’ চলচ্চিত্রটিতে সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, সম্পাদনা করেছেন সৈকত খন্দকার, গীতিকার হিসেবে ছিলেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, টো ক ন ঠাকুর, কাম্রুজ্জামান কামু, সোলায় মান আকন্দ, কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে ছিলেন পিনটু ঘোষ, রোকন ইমন, কামরুজ্জামান রাব্বি, লিপু অসীম, শব্দে ছিলেন শৈব তালুকদার, রূপসজ্জা য় ছিলেন সুমন, রঙ বিন্যাস করেছেন রাশেদুজ্জামান সোহাগ, টাইটেল ও ভিএফএক্স করেছেন নাজমুল হাসান তপু, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নুসরাত জাহান নীপা, পোস্টার করেছেন রাসেল রানা।